পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের পেশাগত বৈষম্য দূরীকরণ, কর্মকর্তা নিয়োগ ও পদোন্নতি সংক্রান্ত অভিন্ন নীতিমালায় ১২ দফা অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কর্মকর্তাবৃন্দ। গতকাল রোববার বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, আজকে আমারা অফিসে বসে শিক্ষার্থীদের সেবা দেওয়ার পরিবর্তে রাস্তায় অবস্থান করছি। ইউজিসির এই কালো থাবার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাদের রাস্তায় এসে দাঁড়াতে হয়েছে। এর মতো লজ্জা আর কি হতে পারে? ইউজিসি একটি আমব্রেলা নামক কমিটি গঠন করে বাংলাদেশের ৫২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একটি নীতিমালায় আনতে চাচ্ছে। আমরা গোপন সূত্রে শুনেছি তারা আমাদেরকে দুটো প্রমোশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে চায় যেটা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্টের নীতিমালা পরিপন্থী। তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে আমার ৬২ নয় ৬৫ বছর পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করতে চাই। যত প্রশাসনিক কোটা খালি আছে সেগুলোতে যোগ্যতম লোক বাচাই করে নিয়োগ দিতে হবে। কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ও পদায়নের সুযোগ সুবিধা থাকবে। অফিসার নিয়োগ হওয়ার একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর আমাদের পদোন্নতির ব্যবস্থাসহ ১২ দফা দাবি নিয়ে আমরা রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। ভিসি আমাদের দাবিগুলো অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন করে আমাদের পাশে দাঁড়াবে এমনটাই প্রত্যাশা আমাদের। ফিসারিজ বিভাগের কর্মকর্তা শেখ ফরিদ আলি বলেন, আমরা আমাদের সম্মান বৃদ্ধির জন্য এখানে দাঁড়িয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নীতিমালা বাস্তবায়ন হলেও কর্মকর্তাদের নীতিমালা বাস্তবায়ন হয়না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের যোগ্যতা থাকা সত্বেও তাদের সাথে কেরানির মতো আচরণ করা হয়। এত সুযোগ সুবিধা আমরা কেন পাচ্ছি ? এ নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন। আমি বলতে চাই, এখানে যারা এসেছেন তারা সবাই মাস্টার্স সম্পন্ন করে ভালো পজিশন নিয়ে এখানে এসেছেন। আমাদের যোগ্যতারভিত্তিতে আমাদের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হোক। প্রশাসনের কাছে ন্যায্য দাবিগুলো মেনে নেওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।
অডিট সেলের কর্মকর্তা মাসুম আল রশিদ বলেন, অনেকেই আমাদেরকে প্রশ্ন করছে ১২ দফা দাবির যৌক্তিকতা কতটুকু? বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আমাদের চাওয়া দাবিগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে তবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন বাস্তবায়ন হবে না ? যারা সেকশন অফিসার হিসেবে যোগদান করবে শুধু তাদেরই পদোন্নতি হবে এটি কেমন নীতিমালা।
প্রাইমারিতে চাকরিরত কর্মকর্তাদের পদোন্নতির সুযোগ রয়েছে কিন্তু বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে চাকরি করেও সেই সুযোগ সুবিধা থেকে আমরা বঞ্চিত। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কেন এতো বৈষম্যের শিকার হতে হবে? আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
এসময় ড. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে বিভিন্ন বিভাগ, অনুষদ, প্রশাসন ভবন থেকে আসা প্রায় দুই শতাধিক কর্মকর্তা এ কর্মসূচি উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।