পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীতে গত কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় পানি জমেছে। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাস্তার পানি নেমে গেলেও অধিকাংশ বাসা-বাড়ির ছাদের পানি সরেনি। এমনকি অনেক মালিক নিজের বাড়ির বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পানি সরাতে কোন ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। আবার অনেকেই সময় হলে সূর্য্যরে আলোতেই পানি শুকিয়ে যাবে এই ভেবে বসে আছেন। এসব বাড়ির মালিকরা ঢাকা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে দেয়া নির্দেশনার কোনটাই মানছেন না।
রাজধানীতে বসবাসরত নগরবাসীরা বলছেন, বাসার নিচে, ছাদে ও ভবনের পাশের ফাঁকা জায়গাগুলোতে জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিস্কার করা হয় না। বাড়ির মালিকরাও এ বিষয়ে বেশি ভাবেন না। আর সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব থাকা সত্বেও তাদের সব এলাকায় দায়িত্বরত কর্মীকে কাজ করতে দেখা যায় না।
প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাধীন কতজন রোগী আছেন তার সঠিক তথ্যও কারো জানা নেই। আবার অনেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা সাধারণ জ্বরের চিকিৎসা করে বাসায় চলে যাচ্ছেন। রাজধানীর অনেক এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী থাকলে তারা ঘরে বসেই সাধারণ চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্ষার শুরুতে হঠাৎ ডেঙ্গু রোগী বেড়ে যাওয়ার ঘটনাকে রেড অ্যালার্ট হিসেবে দেখছেন কীটতত্ত্ববিদরা। রোগীর ঠিকানা ধরে মশক সার্ভিলেন্স বাড়ানোর কথা বলছেন তারা। ডেঙ্গু রোগীর তথ্যভাণ্ডার তৈরির পরামর্শ দেন। পাশাপাশি এডিস মশা যেখানে সক্রিয় সেই সব এলাকায় অভিযান চালানোর আহ্বান জানান তারা।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক বিবৃতিতে জানানো হয় শুক্রবার সকাল থেকে গতকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ জন। ঢাকায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৯ জন। ঢাকার বাইরে একজন। গত বৃহস্পতিবার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকাতে ৩১ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বর্তমানে সারাদেশে সর্বমোট ১১৫ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১১১ জন এবং ঢাকার বাইরে তিন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল সর্বমোট ৭৩০ জন। একই সময়ে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬১৫ জন রোগী। মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গত বৃহস্পতিবার ভর্তি হয়েছিলেন ১৮ জন। বুধবার ভর্তি হয়েছিলেন আট জন। এখন মুগদা হাসপাতালেই ভর্তি আছেন ৫২ রোগী। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো এ তথ্যের সাথে প্রকৃত রোগীর সংখ্যা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন রাজধানীতে বসবাসকারী নাগরিকরা।
পুরান ঢাকার মুগদা এলাকার বাসিন্দা মিনহাজ রহমান সোহাগ বলেন, আমার এলাকার অনেক বাড়িতে ছাদ ও আশেপাশের জায়গায় পানি জমে থাকলেও সরানো হয় না। আর সিটি করপোরেশনের কোন লোকজনকে আসতে দেখছি না। আগে মশা মারার ওষুধ ছিটানো হতো এখন আর তা করা হয় না।
কীটতত্ত্ববিদ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক জিএম সাইফুর রহমান বলেছেন, বর্ষার শুরুতেই ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। এভাবে রোগী বাড়লে ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হবে। সিটি করপোরেশনের উচিত ডেঙ্গু রোগীর তথ্য সংগ্রহ করে ওইসব এলাকায় সার্ভিলেন্স কার্যক্রম জোরদার করা। এলাকাভিত্তিক মানুষকে সচেতন করাও প্রয়োজন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর এখনও ডেঙ্গু রোগীর কোন তথ্য সরবরাহ শুরু করেনি। যে কারণে এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই। এবার হয়তো রোগী বাড়লে তথ্য সরবরাহ শুরু করবে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তথ্য দিলে সেই ঠিকানা ধরে অভিযান চালাবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।