পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশিষ্ট জলবায়ু ও পানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত বলেছেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বেশ কিছু বিপদের মুখে পড়তে পারে বাংলাদেশ। বেশি প্রভাব পড়বে পানি ও বাতাসের ওপর। বদলে যাবে আবহমান ঋতুর চিরায়ত বৈশিষ্ট্য। ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষি। ব্যাহত হবে খাদ্য উৎপাদন। প্রকৃতিতে ইতোমধ্যে এসবের লক্ষণ স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে ইনকিলাবকে তিনি গতকাল এসব কথা বলেন। অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) প্রণয়ন প্রকল্পের টিম লিডার । এ সময় ন্যাপ প্রণয়নের নানা বিষয়ও নিয়েও তিনি কথা বলেন।
ড. আইনুন নিশাত বলেন, গত বছর দেশে সময়মতো পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় খরায় ভুগতে হয়েছে। এমনটা চলতে থাকলে ফসলের উৎপাদন ব্যাহত হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশের তাপমাত্রা সমান হারে বাড়বে না। কোনও বছর বাড়বে, কোনও বছর কমবে, কোনও বছর অনেক বেড়ে যাবে। ১৯৬১-১৯৯১ সালের আবহাওয়ার তথ্য বিশ্লেষণে এমনই আভাস পাওয়া গেছে। রাজশাহীতে এই সময়ে গরমের জন্য বাইরে বের হওয়া বেশ কষ্টদায়ক। এদিকে আবার সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে দেখা দিতে পারে বন্যা। ২০১৭ সালে এমন সময়ে বন্যা হয়েছিল। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এখন থেকে প্রতি ৫ বছর পর পর এমন বন্যা হবে, যা আগের ৩০ বছরের বন্যাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, কোনও বছর বৃষ্টি বেশি হচ্ছে, কোনও বছর কম। আবার হঠাৎ বৃষ্টিপাত বাড়ছে। গত বছর রংপুরে একদিনে বৃষ্টি হয়েছিল ২২০ মিলিমিটার। তার আগের বছর হয়েছিল ৪৫৩ মিলিমিটার। যদি ঢাকায় ৪৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় তা হলে রাজধানীর বাসাবাড়িতেও হাঁটুপানি উঠবে।
ড. আইনুন নিশাত বলেন, এখন আষাঢ়-শ্রাবণে বৃষ্টি কম হচ্ছে। এটি আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে। তবে বার্ষিক বৃষ্টিপাত বাড়বে। আগে আষাঢ়ের প্রথম দিনে কদম ফুটতে দেখা যেত। কিন্তু ঋতু পরিবর্তনের দোলাচলে এখন এ ফুল খুব একটা দেখা যায় না। এর পেছনেও অনিয়মিত বৃষ্টির ভূমিকা রয়েছে। বর্ষা ঋতুতে বৃষ্টি কমলেও বার্ষিক বৃষ্টিপাত বেড়ে যেতে পারে। ২০১৭ সালে চৈত্র বৈশাখে বৃষ্টি হয়েছে অনেকটা আষাঢ়ের মতোই। ফলে দেশে কিছুটা খাদ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। এ বছর বর্ষা এসেছে বলতে গেলে মার্চ-এপ্রিলে। ফলে আগাম বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে উত্তর-পূর্বাঞ্চল তথা সিলেট নেত্রকোণা এসব হাওরাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, সাগরের পানি বেড়ে যাওয়ায় লবণাক্ততার প্রভাব গোপালগঞ্জ পর্যন্ত এসেছে। সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট ইতোমধ্যে লবণাক্ত। দেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে লবণাক্ততা আরও বাড়বে। ৫-৭ বছরের মধ্যে এমন মাত্রার ঘূর্ণিঝড় হতে পারে, যা বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত হয়নি। সম্ভাব্য ওই ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার। এর মাঝে সমুদ্রের পানির উচ্চতা ধীরে ধীরে বাড়ছে। বিশ্বের হার ৩.৬ মিলিমিটার। আমাদের উপকূলে তা ৫-৬ মিলিমিটার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।