Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিডিয়াকে বিকৃতভাবে ব্যবহার করছে আওয়ামী লীগ: রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ জুন, ২০২২, ১২:০৩ এএম

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা একসাথে যায় না। এখন সেই আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাতে চায়। তারা মিডিয়াকে বিকৃতভাবে ব্যবহার করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম আয়োজিত ১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষ্যে ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে ফ্যাসিবাদ আবারো দেখছি। যেমনটি ছিলো ১৯৭৫ সালে। তবে এখন কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে মাত্র। ১৯৭৫ সালে বাকশাল করেছিল আওয়ামী লীগ। সেসময় ৪টি বাদে অন্যসব গণমাধ্যম বন্ধ করা হয়েছিলো। সেই আওয়ামী লীগ আবারো ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে কালো আইন করেছে। এই আইনে মানুষের বাক স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে গণমাধ্যমের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি করা হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার লোকেরা পরিকল্পিতভাবে নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। বিএনপি হচ্ছে বাকস্বাধীনতার পক্ষে। বিএনপির শাসনামলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরকার মিডিয়াকে বিকৃতভাবে ব্যবহার করছে। আওয়ামী লীগ আর গণমাধ্যমের স্বাধীনতা একসাথে যায় না। এখন অনেক গণমাধ্যম দেখা যায় ঠিকই কিন্তু সরকার সেগুলোকে ভয় ভীতির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে। যার উদাহরণ এখন পদ্মা সেতু নিয়ে সব গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত করা হচ্ছে। এটাই তো ফ্যাসিবাদ। কই খালেদা জিয়ার শাসনামলে তো অসংখ্য ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ হয়েছে সেসময় তো এমন ঢাকঢোল পেটানো হয়নি।
রিজভী বলেন, সরকার নাকি নিজের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। বরং চীনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে পদ্মা সেতু করা হয়েছে। যার ঋণের বোঝা আমাদের সবাইকে শোধ করতে হবে। আসলে যে টাকা খরচ হওয়ার কথা তা হয়নি। বরং বেশি টাকা খরচ করা হয়েছে। মূলত এসব টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে আশংকা করেছেন তা কেনো? সবই তো তার নিয়ন্ত্রণে। আপনার এতো বাহিনী, এতো গোয়েন্দা সংস্থা তাহলে তারা কী করে? এটাকেই বলে যে ঠাকুর ঘরে কে রে? আপনার হাতে সবকিছু আর আপনিই দুর্ঘটনার আশংকা করছেন!
আপনার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তো বিএনপির মৃত নেতার নামেও মিথ্যা মামলা দেয়। কিন্তু আমাদের আশংকা হয় যে, আপনার লোকেরা কী এমন অঘটন ঘটিয়ে উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপিয়ে দিবে!
রিজভী বলেন, আপনার হিংসাশ্রয়ী আচরণ তো ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। আপনি একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে পদ্মা সেতু থেকে টুস করে ফেলে দিবেন? নোবেল বিজয়ী ব্যাক্তিকে চুবাবেন। এখন তো পদ্মা সেতুর নাম শুনলেই ভয় হয়। তারা নাকি একেবারে স্বর্গে চলে যাবে। পদ্মা সেতুর শুরু থেকেই সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে। ১৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প এখন প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকায় ঠেকেছে। আর কতো হবে তা বলা যায় না। একটি শিশুও জন্মের পর থেকেই ঋণে জর্জরিত। আমরা ভয়ংকর একদলীয় শাসনের যাঁতাকলে নিষ্পেষিত।
সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও শাহাদাত হোসেন বিপ্লবের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, বিএনপির সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ