পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কালো টাকার বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের ভিত্তিতে প্রকাশিত সংবাদের শিরোনাম নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় আপত্তি জানিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, মন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে গণমাধ্যমে আসা সংবাদের শিরোনামে ‘অনাকাঙ্খিত বিভ্রান্তি’ সৃষ্টি হয়েছে। বিভ্রান্তি এড়িয়ে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংবাদ শিরোনামকে ‘অতি আকর্ষণীয় করার তাগিদে’ কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও দৈনিক পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের অংশবিশেষ ‘ঢাকায় যাদের জমি ও ফ্ল্যাট আছে সবাই কালোটাকার মালিক’ ব্যবহার করায় ‘অনাকাঙ্খিত বিভ্রান্তি’ সৃষ্টি হয়েছে।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, সরকারি বিভিন্ন পদ্ধতিগত সমস্যার কারণে মানুষের টাকা ‘কালো টাকায়’ বা অপ্রদর্শিত অর্থে পরিণত হয়। তিনি বলেছিলেন, ‘ঢাকায় যাদেরই জায়গা-জমি আছে, বাড়িঘর আছে, ফ্ল্যাট আছে, সবাই কালো টাকার মালিক। একজনও বাকি নাই। কারণ এরজন্য সরকার দায়ী, এরজন্য সিস্টেম দায়ী।’
অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে অর্থমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের বিষয়টি স্বীকার করা হলেও সংবাদের শিরোনামে আপত্তি জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘পুরো সংবাদটি যদি কেউ না পড়ে, তাহলে এ ধরনের শিরোনাম ভুল বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। তাই প্রকৃত বক্তব্যটি খেয়াল করে প্রকৃত বার্তাটি পৌঁছে দিয়ে অনাকাঙ্খিত বিভ্রান্তি সৃষ্টি থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী তার ওই বক্তব্যে আসলে কী বোঝাতে চেয়েছেন সেটি ব্যাখ্যা করা হয়েছে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাংবাদিকদের একটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি (মন্ত্রী) বলেন, রাজধানীর গুলশান এলাকায় জমির যে দাম দেখিয়ে নিবন্ধন করা হয়, জমির প্রকৃত দাম তার চেয়েও বেশি। কিন্তু বেশি দামে তো নিবন্ধন করানো যায় না, প্রতিটি মৌজার জন্য দাম ঠিক করে দেওয়া আছে, এর বেশি দামে নিবন্ধন করা যাবে না। সুতরাং কালো টাকা তো সেখানেই সৃষ্টি হচ্ছে; কে কালো টাকার বাইরে আছে? ‘বাস্তবতা হচ্ছে, হয়ত যে ফ্ল্যাট দুই কোটি টাকায় নিবন্ধিত হচ্ছে, সেই ফ্ল্যাটের প্রকৃত দাম হয়ত ১০ কোটি টাকা। ফলে সরকার বাড়তি নিবন্ধন মাশুল পাচ্ছে না। এখানেই কালো টাকা সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়গুলো সবাইকে বুঝতে হবে। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকা শহরে যার জায়গা আছে কিংবা যে ব্যক্তি জায়গা কিনেছেন, শুধু তিনিই বলতে পারবেন, কত টাকায় নিবন্ধন হয়েছে এবং জমির প্রকৃত বাজারদর কত। সুতরাং ঢাকা শহরে যাদের জমি বা ফ্ল্যাট আছে, তারা সবাই এক অর্থে কালো টাকার মালিক। তবে এ পরিস্থিতির জন্য আমাদের বিদ্যমান সিস্টেম বা ব্যবস্থা দায়ী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।