পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিগগিরই চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল সেবা (ফোরজি) চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ। মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবার মান নিয়ে সরাসরি ভোক্তা সাধারণের মতামত জানতে প্রথমবারের মতো গণশুনানির শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেল সাড়ে তিনটার পর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শুনানিতে ২০০ জন মোবাইল ফোন গ্রাহক উপস্থিত ছিলেন। বিটিআরসি পক্ষ থেকে বলা হয়, শুনানিতে অংশ নিতে এক হাজার আবেদনের মধ্য থেকে প্রায় পাঁচশ’ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, অতি শিগগিরই ফোরজি চালু করবো। তখন আরও ভালো সেবা পাবেন গ্রাহকরা। আগামী বছরের শুরুতে এমএনপি চালু করবো। ভোক্তাদের সেবা দেওয়ার জন্য প্রাণান্তকর কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রতি ছয়জনে পাঁচজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, পৃথিবীতে এমন উদাহরণ বিরল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের ফলে অপরাধের সংখ্যা ভীষণভাবে কমে গেছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী থেকেও আমাদের এমনটা জানানো হয়েছে।
ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, টেলিফোন অ্যাক্ট ৮৭ এর (ক) ধারায় বলা হয়েছে, মাঝে মধ্যে শুনানি করতে হবে। প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর গণশুনানির আয়োজন করে মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে সেবা প্রদান করবো।
গণশুনানিতে মোবাইল সেবার মান বিশেষ করে কল ড্রপ, ভয়েস কল ও ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্যাকেজ ও মূল্য সম্পর্কে জনগণের সরাসরি মতামত নেওয়া হয়।
গণশুনানিতে মোবাইল ফোনের কলড্রপ ও বিভিন্ন প্যাকেজ (ভয়েস, ডেটা, বান্ডল) এবং এর মূল্য সম্পর্কে অভিযোগ ছাড়াও বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন, সাইবার অপরাধ, মোবাইল ফোনে হুমকি, ফেইসবুক ব্যবহারে নিরাপত্তা, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস, মোবাইল অপারেটরদের কলসেন্টারের মাধ্যমে সেবা সংক্রান্ত অভিযোগ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য টেলিকম সেবা প্রদানকারীদের প্রদত্ত সেবার বিষয়ে জনসাধারণ/গ্রাহকের অভিযোগ উঠে আসে।
বিটিআরসি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মোবাইল ফোন অপারেটর ও বিভিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত পদস্থ কর্মকর্তা অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানানো হয়েছে।
সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী ও ভোক্তা সংঘের প্রতিনিধি, আইনজীবী, শিক্ষক, গবেষক, গণমাধ্যমকর্মী ও সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীসহ নিবন্ধনকৃত গ্রাহকরা এতে অংশ নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।