পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের অবদান জাতি গভীর শ্রদ্ধাভরে চিরদিন স্মরণ করবে।
তিনি বলেন, মরহুম মুহিত ছিলেন বহুবিধ জ্ঞান, প্রজ্ঞা, মানবিক মূল্যবোধ এবং বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী।
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত স্মরণে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) উদ্যোগে বনানীস্থ হোটেল শেরাটনে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার আজ এসব কথা বলেন। তিনি সাবেক অর্থমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানাতে এই বিরল স্মরণসভার আয়োজকদেরকে ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) সভাপতি এম এ মুবিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্মরণসভার আহবায়ক ড. মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন, হাভার্ড স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক ড. বিমলাংশু দে, জাতীয় অধ্যাপক ড. শায়লা খাতুন, বিটিআরসি'র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন ।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব ও দূরদর্শী নির্দেশনায় দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন ঘটছে। অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আবুল মাল আবদুল মুহিত সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সুষ্ঠুভাবে সকল দায়িত্ব পালন করেছেন। বার্ষিক বাজেটেও তিনি জনকল্যাণমূলক অসংখ্য প্রস্তাব গ্রহণে সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন৷
স্পিকার বলেন, দারিদ্র্যের হার হ্রাস, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে নারী জনগোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন ভাতা চালু করা, ক্ষুদ্র ও নারী উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিতকরণে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আবদুল মুহিত সার্বক্ষণিক কাজ করে গেছেন। দেশের অর্থনীতিতে জনগোষ্ঠীর অর্ধেক নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমেই দেশের সার্বিক উন্নয়ন নির্ভর করে এই মন্ত্রে তিনি বিশ্বাসী ছিলেন।
তিনি বলেন, তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তানে সিভিল সার্ভিসে যোগদান করে দেশ সেবার সুযোগ লাভ করার পর এই অনন্য প্রতিভাধর মানুষটি ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তান দূতাবাসে কর্মরত থাকাকালীন বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন করেন। এ কারণে তাঁকে ২০১৬ সালে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’ প্রদান করা হয়। তিনি মোট ১১বার এবং টানা ৯বার বাজেট উপস্থাপন করেছেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী সিলেটকে সর্বদা ভালোবেসেছেন এবং কর্মময় জীবনের বিভিন্ন সময়ে সিলেটের প্রতি তার গভীর অনুরাগ প্রকাশ করেছেন।
স্মরণসভায় আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, বিপিএমসিএ’র সদস্যবৃন্দ, সাংস্কৃতিক ও গণমাধ্যমকর্মীসহ সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।