পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবিতে সিটিসেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহবুব চৌধুরীসহ চার কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ রেখে অবস্থান ধর্মঘট করছেন অপারেটরটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গতকাল (মঙ্গলবার) মহাখালীতে সিটিসেলের প্রধান কার্যালয় প্যাসিফিক সেন্টারে সিইও’র রুমের সামনে দুপুর আড়াইটা থেকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে রাত ১০টা পর্যন্ত তারা ধর্মঘট পালন করেন। বিকাল ৫টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (পিবিটিএলইইউ) যোগাযোগ সম্পাদক মাহজাবিন মিতালী বলেন, ২২ নভেম্বর আমাদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছিলেন সিইওসহ অন্যরা। কিন্তু আজকে এসে তারা আবার সময় চাচ্ছেন। সিটিসেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৫ মাসের বেতন এবং দুটি বোনাস বাকি রয়েছে। আমরা আমাদের পাওনা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট চালিয়ে যাব। আগে তিন দফা সময় নিয়েও প্রতিশ্রুতি না রাখায় নতুন করে এক মাস সময় দিতে রাজি নন তারা। ঢাকা শহরে কেউ যদি ৫ মাস বেতন না পায়, তাহলে সে কীভাবে চলতে পারে! আমাদের পক্ষে আর একদিনও সময় দেওয়া সম্ভব নয়। মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট চালিয়ে পরদিন থেকে অনশন কর্মসূচিতে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে সিটিসেল কর্মীদের। এদিকে একই দাবিতে আজও ধর্মঘট পালন করা হবে বলেও তিনি জানান।
মাহজাবিন বলেন, আমরা কাল থেকে সিটিসেল প্রাঙ্গণেই অনশন শুরু করব। এরপর বাইরে যেখানে জায়গা পাই সেখানে যাব। সিইওসহ বড় কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ কিনা এ প্রশ্নে মাহজাবিন বলেন, সেভাবে অবরুদ্ধ আমরা বলছি না। আমরা তাদের কক্ষের সামনে অবস্থান করছি। এখন তারা যদি আমাদের এ অবস্থানের উপর দিয়ে চলে যেতে পারেন, তাহলে বের হতে পারেন। সিটিসেলের উপ-ব্যবস্থাপক মো. হাসান মাহমুদ আলী জানান, শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। সিইও ছাড়া অবরুদ্ধদের মধ্যে চিফ টেকনিক্যাল অফিসার মাহফুজুর রহমান, চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার তারিকুল হাসান ও কমার্শিয়াল কম্পট্রোলার জিয়াউর রহমান ছিলেন।
বিটিআরসির পাওনা ৪৭৭ কোটি টাকা পরিশোধ না করায় গত ২১ অক্টোবর সিটিসেলের তরঙ্গ বন্ধ করে দেওয়া হয়। দেনা পরিশোধের প্রতিশ্রুতিতে আদালতের নির্দেশে ১৭ দিন পর সিটিসেলের সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তবে আপিল বিভাগের আদেশে বলা হয়, ১৯ নভেম্বরের মধ্যে সিটিসেল বকেয়ার ১০০ কোটি টাকা পরিশোধ না করলে আবারও তরঙ্গ বন্ধ করে দিতে পারবে বিটিআরসি। নির্ধারিত সময়ের দুইদিন আগেই ওই টাকা পরিশোধ করে অপারেটরটি। এই কোম্পানির ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক বিএনপি নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানের প্যাসিফিক মোটরস লিমিটেড। সিঙ্গাপুরের সিংটেলের হাতে আছে ৪৫ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া ফার ইস্ট টেলিকম লিমিটেড ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।