Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নথি জালিয়াতি জঘন্য অপরাধ

ফাতেমার জামিন প্রশ্নে দুই রুল খারিজ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০২২, ১২:০০ এএম

নথি জালিয়াতিকে ‘জঘন্য অপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, জালিয়াতকারীদের প্রতি কোনো রকমের অনুকম্পা দেখানো হবে না। তাদের সাজা খাটতে হবে। এটি খুব বিপজ্জনক ও গুরুতর অপরাধ। মন্তব্যের পরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথি জালিয়াতি মামলায় অফিস সহকারী ফাতেমা খাতুনের জামিন প্রশ্নে জারিকৃত দু’টি রুলই গতকাল সোমবার খারিজ করে দেন আদালত।

বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কাজী মো: ইজারুল হক আকন্দের ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
শুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে অংশ নেন অ্যাডভোকেট মো: আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়া। সরকারপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আসামি ফাতেমা খাতুনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো: মশিউর রহমান।
আমিন উদ্দিন মানিক জানান, আদালত বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নথি জালিয়াতি জঘন্য অপরাধ। এদের কোনো দয়া না, তাদের সাজা খাটতে হবে। এটি খুব বিপজ্জনক ও গুরুতর অপরাধ।
প্রসঙ্গত : নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের জন্য ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এনামুল হক, বুয়েটের প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো: আব্দুর রউফ এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর এম. আবদুস সালাম আজাদের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি সার সংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। সার সংক্ষেপের নথি প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করার পর তিনি অধ্যাপক ড. এম. এনামুল হকের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন। পরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নথিটি প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানোর প্রস্তুতির আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমা খাতুনের কাছে এলে এম আবদুস সালাম আজাদ অনুমোদন পাননিÑ মর্মে গোপনীয় তথ্য ফোনে ছাত্রলীগ নেতা তরিকুলকে জানিয়ে দেন। পরে ২০২০ সালের ১ মার্চ নথিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কৌশলে বের করে ৪নং গেটের সামনে আসামি ফরহাদের হাতে তুলে দেন ফাতেমা। এই কাজের জন্য ফাতেমাকে আসামিরা ১০ হাজার করে বিকাশে মোট ২০ হাজার টাকা দেন-মর্মে অভিযোগ আনা হয়। ৩ মার্চ আসামিরা নথিটি প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠায়। তবে একপর্যায়ে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। জালিয়াতির ওই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিটও দাখিল করে। অভিযোগ দুদকের এখতিয়ারভুক্ত হওয়ায় পরবর্তীতে কমিশনের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ৮ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ