Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জামিন মেলেনি ‘নিউ বসুন্ধরা’ মালিকের

১১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০২২, ১২:০১ এএম

শত কোটি টাকারও বেশি আত্মসাৎ এবং পাচার মামলায় ‘নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লি:’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মান্নান তালুকদার ওরফে উমেদার মান্নানের জামিন মেলেনি। তবে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো: আনিসুর রহমানকে কেন জামিন দেয়া হবে না-এই মর্মে রুল জারি করা হয়েছে। বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিন এবং বিচারপতি মো:আতোয়ার রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। মান্নানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজল। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। তিনি বলেন, আসামি মান্নানকে জামিন দেননি আদালত। এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ মে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় ‘নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মান্নান তালুকদার ও চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে ১১০ কোটি ৩১ লাখ ৯ হাজার ১৩৫ টাকা ৫৮ পয়সা অবৈধ সম্পদ অর্জন, অপরাধলব্ধ আয় স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগে মামলা করে দুদক।
এজাহারের তথ্য মতে, কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ১০ কোটি টাকা। কোম্পানির মোট ১ হাজার শেয়ারের মধ্যে আবদুল মান্নান তালুকদারের ৮৫০টি, চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানের ৫০টি, তার মা সালেহা বেগম ও স্ত্রী জেসমিন নাহার ৫০টি করে শেয়ারের মালিক। প্রকৃতপক্ষে নিউ বসুন্ধরার চেয়ারম্যান হিসেবে মো. আনিসুর রহমানের নাম থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুল মান্নান তালুকদার। ২০১০ সালে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী (এমএলএসএস) আবদুল মান্নান তালুকদার ওরফে উমেদার মান্নান স্বেচ্ছায় অবসর নেন। পরে তিনি ‘নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড’ নামে একটি জমি কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলার পর তিনি গ্রাহকদের প্রতি লাখে মাসে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা করে দেয়ার প্রলোভনে বাগেরহাট, খুলনাসহ বেশ কয়েকটি জেলার অন্তত ২০ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে অন্তত ২শ’৯৯ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেন, যা ব্যাংকিং আইনের পরিপন্থী। পরে গত কয়েক বছরে বাগেরহাটের ১৬টি ব্যাংকের ৩০টি (অ্যাকাউন্ট) হিসাবে ১১০ কোটি ৩১ লাখ ৯১৩৫ টাকা ৫৮ পয়সা জমা করেন। গ্রাহকের কাছ থেকে নেয়া এই বিপুল পরিমাণ অর্থ তিনি ব্যাংক থেকে তুলে পাচার করেছেন-মর্মে অভিযোগ আনা হয় এজাহারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ