Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

যাত্রাবাড়ী থেকে নিষিদ্ধ জেএমবি’র ৩ সদস্য গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম


রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা হলেন, রাশেদুর রহমান ওরফে সুমন (২৪), শাহিদুল ইসলাম ওরফে শিপন (২৩) ও বাবু হাওলাদার ওরফে হোসেন (২৮)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০ কেজি বিস্ফোরক দ্রব্যসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) এ এস এম হাফিজুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলা এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। এ সময় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা পুরাতন জেএমবি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, রাজধানীসহ আশপাশের এলাকায় তারা বিভিন্ন বাসায় ডাকাতি করে থাকে। ডাকাতি থেকে সংগৃহীত অর্থ ও মূল্যবান দ্রব্যের একটা অংশ তারা সংগঠনের কাজে ব্যয় করে। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ি থানায় মামলা হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ২ সদস্য আটক
সিদ্ধিরগঞ্জ (না:গঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, সিদ্ধিরগঞ্জে চাপাতি-ছুরিসহ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের দুই সদস্যকে আটক করেছে বলে দাবি  করেছে র‌্যাব-১১। গতকাল (মঙ্গলবার) ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে আব্বাস আলী (২৭) ও রংপুর জেলার কাউনিয়া এলাকার সাহেব আলীর ছেলে সাব্বির হোসেন রাজু (২২)।
গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আদমজীতে র‌্যাব-১১ এর সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ব্যাটালিয়ান কমান্ডার লে. কর্নেল কামরুল হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব আরো জানায়, আব্বাস আলী জিজ্ঞাসাবাদের স্বীকার করেছে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ময়মনসিংহের নিজ গ্রাম ছনকান্দায় একটি ঘরোয়া ওয়াজ মাহফিলে জনৈক জসিমউদ্দিন রাহমানিয়ার বয়ানের পর থেকেই তার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। এছাড়া একটি গার্মেন্টে চাকুরি করার সুবাধে ফিরোজ ও সেলিম নামের দুই জনের সঙ্গে বই লেনদেনের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠতায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। পরে আব্বাসীকে আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের ঢাকা বিভাগের সমন্বয়ক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন স্লিপার সেলের সাথে সংযুক্ত করে। ফেসবুকে ৬-৭ জনের গ্রুপ তৈরির মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ ও মাধ্যম হিসেবে ‘টোটানোটা’ ইমেইল ব্যবহার করতো। অপরদিকে সাব্বির হোসেন রাজু ফেসবুকের কিছু গ্রুপের এডমিন ছিল। সে জিহাদী বই সংগ্রহ করে অন্যদেরকে দিয়ে এ ব্যাপারে উদ্বুব্ধ করত।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরো জানান, সোশ্যাল মিডিয়া হতে আল কায়দার ভাবাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা করত। তাদের অন্যতম লক্ষ্য ছিল কাশিমপুর কারাগারে হামলা করে তাদের নেতা জসিমউদ্দিন রাহমানীকে মুক্ত করা। সে জন্য তারা কাশিমপুর এলাকার কয়েকটি গ্রুপের সঙ্গে সমন্বয় করেছিল এবং সুযোগ পেলে হামলার অপেক্ষায় ছিল। বিকল্প হিসেবে তারা রাস্তায় হামলা করে রাহমানীকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিল। সেই সঙ্গে টার্গেট কিলিংয়ের জন্য আলোচিত ব্লগার ও তাদের ভাষায় কথিত নাস্তিকদের হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। এসব কাজগুলো সম্পন্ন করতে অন্য জঙ্গি গ্রুপের সাথেও যোগাযোগ সম্পর্ক স্থাপন করে একত্রিত হওয়ার প্রচেষ্টা চালায় ও নিয়মিত বৈঠক করে সাংগঠনিক পরামর্শ করত। তাদের দেয়া তথ্য মতে তামিম আল আদনানি নামে একজন বর্তমানে মালয়েশিয়াতে অবস্থান করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ