Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

অফিসের সেপটিক ট্যাঙ্কে গুম স্ত্রীর লাশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০২২, ১২:০১ এএম

পারিবারিক কলহের জেরে বাসায় স্ত্রীকে খুনের পর অফিসের সেফটিক ট্যাঙ্কে লাশ গুম করেন শওকত আলী। ওই ট্যাঙ্ক পরিস্কার করার সময় গলিত লাশ উদ্ধারের দুই মাস পর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হয়। হত্যায় জড়িত স্বামী শওকত আলীকে (৬৫) নগরীর খুলশী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান ডিবি ( উত্তর) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আলী হোসেন।
দ্বিতীয় স্ত্রী লিপি আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন স্বামী শওকত আলী। লাশ গুম করতে বাসা থেকে কৌশলে সিএনজি অটোরিকশায় নগরীর পাঁচলাইশ থানার নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ৩ নম্বর রোডের ৬ নম্বর বাড়ির অফিসে এনে সেফটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেন। লিপি আক্তার বরিশাল জেলার বাসিন্দা। গ্রেফতার শওকত আলী এমজিএইচ গ্রুপের নাসিরাবাদ শাখার ক্লিনার হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
ডিসি মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, ২০১৩ সালে শওকত ও লিপি আক্তারের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের তিন থেকে চার বছর পর পুনরায় তারা একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রী রূপে বসবাস করে আসছিলেন। তাদের পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর শওকত লিপি আক্তারকে শ্বাসরোধ করে ভাড়া বাসায় হত্যা করেন। গত ৭ এপ্রিল গলিত লাশটি উদ্ধার করা হয়।
হত্যাকাণ্ডটির কোনো রমক ক্লু না থাকায় অধিক গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়। লাশটি বিকৃত, গলিত এবং দেহ থেকে মস্তক বিচ্ছিন্ন হওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছিল না। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলের পাশে থাকা এমজিএইচ গ্রুপের অফিসের সর্বস্তরের স্টাফদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তদন্তের অংশ হিসাবে সব স্টাফের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাই করা হয়। শওকতের প্রাপ্ত তথ্য এবং সিডিআরে প্রাপ্ত তথ্য গরমিল পরিলক্ষিত হওয়ায় তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ