পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ আটক দুই আসামির বিচার শুরু হয়েছে। তারা হলেন, হত্যাকা-ে ব্যবহৃত অস্ত্র সরবরাহকারী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এহতেশামুল হক ভোলা ও তার সহযোগী মনির হোসেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহে নূর গতকাল (মঙ্গলবার) ওই দুই জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে অভিযোগ গঠন করেন। আর এর মধ্যদিয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হলো। আদালত আগামী ১৮ জানুয়ারি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, দুই আসামীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য শুরুর জন্য ১৮ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন। গত ৫ জুন সকালে নগরীর ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে গিয়ে নির্মম হত্যাকা-ের শিকার হন এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। সন্ত্রাসীরা প্রথমে তাকে কুপিয়ে ও পরে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ আনোয়ার ও ওয়াসিম নামে খুনীচক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়ে জানায়, মিতু হত্যাকা-ে ব্যবহৃত অস্ত্র সরবরাহ করেছে ভোলা। এরপর ২৮ জুন ভোলা ও মনিরকে নগরীর বাকলিয়া থেকে দুটি অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় এ দু’জনকে আসামী করে বাকলিয়া থানায় অস্ত্র আইনে এ মামলা করা হয়।
পুলিশ বলে আসছে, ওই দুইজনের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত পয়েন্ট ৩২ বোরের দেশী রিভলবার ও ৭ দশমিক ৬৫ বোরের পিস্তলটি মিতু হত্যায় ব্যবহার করা হয়েছিল। ভোলাকে হত্যা ও অস্ত্র আইনের দুই মামলায় আসামী করা হলেও ‘তার কর্মচারী’ মনিরকে শুধু অস্ত্র আইনে গ্রেফতার দেখানো হয়। গত ১৪ জুলাই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন মনির।
পুলিশ কর্মকর্তারা সে সময় জানান, ভোলা একটি কাপড়ভর্তি শপিং ব্যাগ রাখতে দিয়েছিলেন বলে জবানবন্দিতে মনির দাবি করেছেন। তার দাবি, ব্যাগের ভেতরে কী ছিল তা তিনি জানতেন না। পরে পুলিশ ভোলাকে সঙ্গে নিয়ে তার বাসায় অভিযানে এলে ব্যাগের ভেতর অস্ত্র থাকার কথা তিনি জানতে পারেন। বাকলিয়া থানার এই মামলায় গত ২৮ জুলাই ভোলা ও মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মহিম উদ্দিন।
মিতু হত্যার ঘটনায় তার স্বামীর দায়েরকৃত মামলায় এখনও অভিযোগপত্র দেয়নি পুলিশ। কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা নামের সন্দেহভাজন একজন গ্রেফতার না হওয়ায় তদন্তও থমকে আছে। মুছাকে ধরিয়ে দিতে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছে মহানগর পুলিশ। তবে এ মোটা অংকের পুরস্কার ঘোষণার পরও পুলিশের ভাষায় মিতু হত্যা মামলার প্রধান আসামী মুছাকে পাওয়া যায়নি।
তবে মুছার পরিবার বরাবরই অভিযোগ করে আসছে, গত ২৩ জুন মুছাকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে গেছে সাদা পোশাকের পুলিশ। এরপর ২৪ জুন তাকে নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা ঢাকায় গিয়ে তাকে বাবুল আক্তারের মুখোমুখি করেছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে করে দাবি করেছেন মুছার স্ত্রী তামান্না।
আলোচিত এ হত্যা মামলায় পুলিশের হাতে সাতজন গ্রেফতার হওয়া ছাড়াও আরও দুজন পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। গ্রেফতারদের মধ্যে মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম ও আনোয়ার হোসেন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে গত ২৬ জুন আদালতে জবানবন্দি দেন। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ওই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তারা মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে মুছার নাম বলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।