পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দিশেহারা ভারতের আমজনতা
ভারতে ৫০০ ও হাজার টাকার নোট বাতিল ঘোষণার পর আজ প্রায় ১৩-১৪ দিন অতিক্রান্ত। এখনো আমজনতার হয়রানির শেষ নেই। যেমন অবস্থা ব্যাংকে, তেমনই অবস্থা রাজ্যের বিভিন্ন এটিএম বুথে। টাকা ঢোকানো হলেও লাইনের যা বহর, তাতে নিমিষেই তা শেষ। স্বভাবতই টান পড়েছে মানুষের ভাঁড়ারে, টান পড়েছে পেটে।
আশা ছিল, চলতি সপ্তাহে নতুন ৫০০ রুপির নোট চলে এলে হাজার ও ৫০০ রুপির নোটের সমান্তরাল বণ্টনে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত তার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। শহরের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলোতে যেমন, তেমনি এটিএমগুলোতেও প্রচ- ভিড় চোখে পড়েছে। সবচেয়ে বিপন্ন অবস্থা মধ্যবিত্ত্বের। ২-৪ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে যাও বা নির্ধারিত দুই হাজার রুপির চকচকে নোট একটা হাতে পাওয়া গেল, কিন্তু তা দিয়ে কিছু কিনতে গেলেই বিপদ। খুচরা নেই। হয় পুরো টাকার মাল নাও, কিংবা পুরনো রুপিতে বাকিটা ফেরত নাও। অন্য দিকে, শহরের এটিএমগুলোর বেশ কিছু কাজ করছে না। যেগুলো করছে, সেগুলোর টাকা ঢোকানোর কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। ফলে হয়রানির শেষ নেই মানুষের। সমস্যায় পড়েছেন রাজ্যের প্রবীণরাও। তাদের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়নি। দিন দুয়েক আগে শহরতলীর এক ব্যাংকে দীর্ঘক্ষণ লাইন দেয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন এক বৃদ্ধ।
এরই মধ্যে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেয়ার দাবিতে ধরনায় বসতে সদলবলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি মঙ্গলবার ফের দিল্লি রওয়ানা হয়েছেন। গত সপ্তাহে দিল্লি গিয়ে মমতা কেন্দ্রীয় সরকারকে সময় বেঁধে দিয়ে এসেছিলেন। জানিয়ে ছিলেন, এই সময়সীমার মধ্যে কেন্দ্র্রীয় সরকার নোট বাতিলের ঘোষণা ফিরিয়ে না নিলে তিরি ধরনায় বসবেন, রাজ্যে রাজ্যে বিশেষ করে যেসব রাজ্যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে সেখানে মিছিল করবেন, বিক্ষোভ দেখাবেন। গত রোববার সেই সময়সীমা শেষ হতেই তিনি বিরোধীদের নিয়ে একজোট হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে এবং ধরনায় বসতে তিনি গতকালই দিল্লি রওয়ানা হয়েছেন। তিনি বিারোধীদের নিয়ে প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সাথেও দেখা করবেন। বিরোধীদের মধ্যে তিনি সাথে পেয়েছেন বাম থেকে কংগ্রেস আপ, সপাসহ প্রায় সব বিরোধী দলকেই। বলা বাহুল্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে সুর চড়াতে এই আন্দোলনের প্রধান মুখ কিন্তু মমতাই।
ধরনার জন্য মমতা বেছে নিয়েছেন দিল্লির যন্তর-মন্তর। ইতোমধ্যে পুলিশের অনুমতিও নেয়া হয়েছে। মুখে অবশ্য মমতা বলছেন, এ আন্দোলনের পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই, মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করেই তার এ আন্দোলন, আসলে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে মোদির বিরুদ্ধে একাট্টা হতে নিজেকে আন্দোলনের অভিমুখ করে তোলার জন্যই যে তিনি সচেষ্ট তা আর চাপা নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।