পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি মৌসুমে যশোর অঞ্চলে গম আবাদ হচ্ছে না। গত বছর ব্লাস্ট রোগে গমের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের ৬টি জেলায় গম আবাদে চাষিদের নিরুৎসাহিত করছে। ১৫ নভেম্বর থেকে আবাদ মৌসুম শুরু হয়। এক ছটাক গমের বীজ ছিটানো হয়নি মাঠে। বীজ সরবারহ বন্ধ রয়েছে। চলছে গবেষণা। আবাদ মৌসুমের মুখে গম আবাদে নিষেধাজ্ঞা কিংবা নিরুৎসাহিত করায় চাষীরা রীতিমতো হতবাক হয়েছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোরের উপ-পরিচালক মোঃ ফয়েজ উদ্দীন জানান, গম আবাদের বদলে ভুট্টা, মসুরী ও তেল জাতীয় ফসল আবাদে চাষিদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। গমের জমি পড়ে থাকবে না। সাময়িকভাবে ক্রপ প্যাটান্ট চেঞ্জ করা হয়েছে মাত্র। গবেষণা শেষ হলে আবার পুরোদমে গম আবাদের আশা করছেন তিনি। এদিকে, গম আবাদ নিয়ে চারিদিকে হৈ চৈ শুরু হয়েছে। গম চাষিরা বলছেন, কৃষি বিভাগ হঠাৎ করেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, এটি ঠিক হয়নি। কর্মকর্তারা বলেছেন, সাময়িক কিছু এলাকা আবাদ বাদ রাখা হয়েছে। এ নিয়ে হৈ চৈ করার কোনো কারণ নেই। যশোরের চাষি ইরফান আলী বললেন, গত মৌসুমে যখন ব্যাপক ক্ষতি হয়, তখন খুব বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়নি। এখন আবাদের মুখে এসে চাষিদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, গত বছর যশোর অঞ্চলে ৫৭ হাজার ৮শ’ ৭০ হেক্টর জমিতে গম আবাদ হয়। এর মধ্যে ১৪ হাজার ৮শ’ ৬৩ হেক্টর জমির গম ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়। অনেক ক্ষেতের গম পুড়িয়ে দেয়া হয়। সে কারণে রোগ নির্ণয়ে গবেষণা চলছে। কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট গবেষণা করছে। নিরুৎসাহিত করার পরেও কেউ যদি গম আবাদ করে বসেন সেক্ষেত্রে প্রাথমিক পরামর্শ হচ্ছে, গমে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিলে শীষ আসার সময়ে একবার এবং এর ১৫ দিন পর দানার পর্যায়ে নাটিভো নাশক ছত্রাকনাশক ওষুধ স্প্রে করতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।