পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)। তাকে জরুরিভিত্তিতে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি চরম নিষ্ঠুর ও অমানবিক আচরণ করছে। তারা বেগম খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। যার প্রমাণ তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অনুমতি না দেয়া। অথচ খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তার মেডিক্যাল বোর্ড বার বার পরামর্শ দিচ্ছেন। পরিবারের পক্ষ থেকেও দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে একাধিক আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু সরকার তা আমলে নেয়নি। ফলে খালেদা জিয়ার পরিবার ও দলের নেতাকর্মীরা চরম আশঙ্কা ও উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের জীবন হুমকির মুখে।
ডা. ডোনার বলেন, সরকার বার বার আইনের দোহাই দিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না। অথচ মানবতার কাছে আইন কোনো বিষয় নয়। সিনিয়র আইনজীবীদের মতে- প্রচলিত আইনেই খালেদা জিয়াকে মুক্তির বিষয়ে সরকারকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। আমরা সরকারের এহেন অগণতান্ত্রিক ও বেআইনী সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বিবৃতিতে বলা হয়- এ কথা মনে রাখতে হবে যে, বেগম খালেদা জিয়া কোনো সাধারণ নারী নন। তাকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও পরিকল্পিত এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দি রাখা হয়েছে। আজ তিনি গুরুতর অসুস্থ হলেও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ না দেয়াটা সত্যিই বেদনাদায়ক, অমানবিক, নিষ্ঠুরতা ও নজিরবিহীন ঘটনা।
ডা. ডোনার বলেন, বিশেষ বিবেচনায় অতীতে অনেক ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ক্ষমা পাওয়ার নজির রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রপ্রধান কর্তৃক ক্ষমা করার বিধান রয়েছে শুধু চরম মানবিক বিষয় বিবেচনার জন্য। আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাবো- খালেদা জিয়ার প্রতি মানবিক হোন। মানবিক দিক বিবেচনা করে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিন। না হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় সরকারকেই বহন করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।