প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
প্রশ্নের বিবরণ : আমরা রসুল (সা.) এর জীবনী পর্যালোচনা করলে দেখতে পাই, ওনি ইসলাম প্রচার এবং প্রসার করতে গিয়ে অনেক ঝুকি এবং যুদ্ধ বিগ্রহের সম্মুখীন হয়েছিলেন যেটা ছিল সম্পূর্ণ আরব কেন্দ্রিক। কিন্তু আমরা জানি রসুল (সা.) আরবে জন্মগ্রহন করলেও তিনি ছিলেন সকলের নবী তথা বিশ্ব নবী। কিন্তু তৎকালীন সময়ে পৃথিবীর যে আরো অসংখ্য দেশ মহাদেশ যেমন ইউরোপ, এশিয়া, আমেরিকা সেই দেশগুলোর অবস্থা সম্পর্কে, তাদের ধর্ম বিশ্বাস সম্পর্কে তেমন একটা ধারনা পাই না। কেবল মক্কা মদিনার কথাই বেশী বেশী শুনি। রাসুল (সা.) জীবদ্দশায় মক্কা বাদে উপরোল্লিখিত দেশ গুলি এবং তাদের অধিবাসিগনের কি অবস্থা ছিল এবং তাদের ধর্ম বিশ্বাসই বা কি ছিল, নবী হিসাবে রসুল (সা.) এর আগমনের সংবাদ ওনারা পেয়েছিলেন বা জানতেন কিনা, রসুল (সা.) ঐ দেশ গুলি সম্পর্কে ইসলাম প্রচারে কি পদ্ধতি বা ভূমিকা রেখেছিলেন জানালে বাধিত হব।
উত্তর : এ বিষয়ে রাসূল (সা.) এর সমকালীন বিশ্ব সম্পর্কে আপনার পড়তে হবে। সে সময়ের আফ্রিকা, চীন, ভারতবর্ষ, পারস্য ও রোমান শাসিত এলাকা সম্পর্কে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ইতিহাসের বইপত্র পড়া ছাড়া আপনি এসব জানতে পারবেন না। আল্লাহর রাসূল (সা.) তখনকার বিশ্বের প্রধান নগরীতে এসেছিলেন। একটি দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করে তিনি বিশ্বব্যাপী কাজ ছড়িয়ে দেন। তার ওফাতের পর সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়ীগণ পৃথিবীর সব জায়গায় ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেন। এজন্যই তিনি বিশ্বনবী। এ বিষয়ে কোনো গবেষক আলেমের সাহায্য নিয়ে আপনার স্বতন্ত্র পড়ালেখা করতে হবে।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।