Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পার্টিতে যোগ দিন, নইলে চুপচাপ থাকুন

সরকারের সমালোচনাকারীদের পরিকল্পনামন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০২২, ১২:০৫ এএম

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সরকারের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে বলেছেন, হয় পার্টিতে যোগ দিন, নয়তো চুপচাপ থাকুন। পণ্ডিতরা পণ্ডিতের জায়গায় থাকুক। গতকাল শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘পদ্মা সেতু : দক্ষিণাঞ্চলের স্বপ্ন বুনন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। বরিশাল বিভাগীয় সাংবাদিক সমিতি এ সেমিনারের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, আমরা সাধারণ মানুষ, নতুন যে উদ্যম হয় আমরা সেই উদ্যমের সঙ্গে থাকব। সেটা পদ্মা সেতু হোক, টানেল হোক, বিদ্যুতায়ন হোক। এখন সরকার বাংলার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে, এটা মহানায়কের স্বপ্ন ছিল। এই একটি বিষয়ে অন্তত সরকারকে যদি আমরা ধন্যবাদ না দেই, তবে ছোট মনের পরিচয় দেব।
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে পদ্মা সেতুর পিলার ও কচুরিপানা নিয়েও অভিযোগ হবে বলে মন্তব্য করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, সমালোচনা করতে হলে কনস্ট্রাকটিভ সমালোচনা করেন। যারা সমালোচনা করবে তারা কচুরিপানা নিয়েও করবে। যদি পিলারে কচুরিপানা আটকে যায় তাহলে তারা বলবে- এমন পিলার বানিয়েছে যে, কচুরিপানা যায় না।
মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর মধ্যদিয়ে অর্থনীতি ও সুখের নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো। সেতুর কাজ শুরু হওয়ার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ দেশের অনেক তথাকথিত সুশীল এটা নিয়ে নোংরা খেলায় মেতে ওঠেন। তারা বলেন, এখানে দুর্নীতি হচ্ছে, টাকা দিয়েন না। শ ম রেজাউল বলেন, দেশের সার্বিক জিডিপির পাশাপাশি পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পটি কাজ সমাপ্ত হলে তা অতিরিক্ত ১ দশমিক ২৩ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিডিপি বাড়বে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। সেতুটি যোগাযোগের জন্য উন্মুক্ত হলেই দেশের সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলা সরাসরি সারাদেশের সঙ্গে যুক্ত হবে। ঢাকা থেকে খুলনা, মোংলা, বরিশাল, কুয়াকাটা অর্থনৈতিক করিডোর খুলে যাবে। এ সেতু ঘিরে বিশদ অঞ্চলজুড়ে গড়ে উঠবে নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্ক। ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে এবং দেশের শিল্পায়নের গতি ত্বরান্বিত হবে।
সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন বরিশাল ডিভিশনাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিডিজেএ) সভাপতি তারিকুল ইসলাম মাসুম, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দা রুবিনা আক্তার মীর, বরিশাল মেট্রোপলিটন চেম্বার প্রেসিডেন্ট ও এফবিসিসিআই পরিচালক মো. নিজাম উদ্দিন, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল পারভেজ, বরগুনা পৌরসভা মেয়র অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ, ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, ডিইউজের’র সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, শিপিং রিপোর্টার্স ফোরাম সভাপতি কাজী জেবেল, অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ সভাপতি নাদিরা কিরণ প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ