Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জলাশয় ভরাট করে দোকান নির্মাণ : বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০২২, ১২:০৫ এএম

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে সরকারি খাস জায়গায় দোকান বরাদ্দের নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি দাউদকান্দি বাজারের একটি ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তারা। লিখিত বক্তব্যে ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা দাউদকান্দি উপজেলার পৌর সদর বাজারে সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত জায়গা একসনা বন্দোবস্ত নিয়ে দীর্ঘ প্রায় বিশ বছর যাবৎ ব্যবসা করে আসছি। নিয়ম অনুয়ায়ি প্রতিবছরই খাজনা পরিশোধ করছি। উক্ত জায়গায় দীর্ঘদিন ব্যবসা-বাণিজ্য করে পরিবার-পরিজনকে নিয়ে জীবন যাপন করে আসছি। হঠাৎ ২০১৯ সালে আমাদের খাজনা জমা নেয়া বন্ধ করে দেয়। আমরা মনে করেছিলাম মহামারী করোনাকালীন সময়ের কারণে খাজনা আদায় বন্ধ ছিল। ২০২১ সালে আমাদেরকে কোন ধরনের নোটিশ ছাড়াই দোকানগুলো উচ্ছেদ করে দেয় উপজেলা কর্তৃপক্ষ। পরে আমরা উপজেলা প্রশাসনের নিকট দাবি করি, হঠাৎ করে আমাদেরকে উচ্ছেদ করায় আমরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং পারিবার নিয়ে পথে বসা ছাড়া কোন উপায় নেই। বিষয়টি তৎকালীন উপজেলা নির্বাহি কর্মকতা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম খানের নিকট জানালে তিনি আমাদেরকে আস্বস্ত করেন যে, যারা বিধি মোতাবেক ব্যবসা বাণিজ্য করে আসছি। সেই ১২ জনকে আগে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে। কিন্তু হঠাৎ করে আমাদেরকে না জানিয়ে গোপনে অন্যদেরকে দোকান বরাদ্দ দিয়ে দেয়া হয়েছে। যারা কখনোই সেখানকার ব্যবসায়ী ছিল না।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা আরও অভিযোগ করেন যে, তারা দাউদকান্দি পৌরসভাধীন নোয়াকান্দি ও জয়পুর মৌজার পুকুরের উত্তর পাড়ে বাজার সংলগ্ন ১০শতক জায়গায় ১২টি দোকানে ব্যবসা করতেন। পরবর্তীতে সেখানে ওই দোকানোর জায়গার পাশাপাশি পুকুরের জায়গা ভরাট করে প্রায় ৫০টি দোকান নির্মান কাজ চলছে। তারা বলেন, সরকারি শর্ত মোতাবেক দোকান ঘর বরাদ্দ চেয়ে আমরা আবেদনও করেছি। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন দোকান প্রতি ২০ হতে ৩০ লাখ টাকা দাবী করায় আমাদের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। তাই দোকানও বরাদ্দ দেয়নি। সরকারি বিধি মোতাবেক পূর্বে ভোগদখল থাকা ১২জন ব্যবসায়ীকে দোকান বরাদ্দ দিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেচে থাকার সুযোগ দিতে দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার খোরশেদ আলম, উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেনসহ ১২জন ব্যবসায়ী।
এবিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুকান্ত সাহা বলেন, সরকারি বিধি মোতাবেক দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পুকুরের পার ভেঙ্গে গিয়ে ছিল সেটা ভরাট করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ