Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাচার করা অর্থকে আইনি বৈধতা দেয়ায় আরও উৎসাহিত হবে পাচারকারীরা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০২২, ৫:০৪ পিএম

প্রস্তাবিত বাজেটে বিদেশে পাচার করা অর্থকে আইনি বৈধতা দেওয়ায় পাচারকারীরা আরও উৎসাহিত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ওয়ার্কার্স পার্টি। আজ শনিবার (১১ জুন) দলটির পলিটব্যুরোর ২০২২-২৩ এর বাজেট প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় এ আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।

দলটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, মূল্যস্ফীতি ৬.৯ শতাংশ থেকে কীভাবে ৫.২৯ শতাংশে ফিরিয়ে আনা হবে বাজেটে তার কোনো নির্দেশনা নেই।ব্যবসাবান্ধব বাজেট বানাতে আরেকদফা কর্পোরেট কর কমানো হয়েছে। কিন্তু ব্যক্তি তিন লাখের সীমা বাড়ানো হয়নি। বাজেটে সম্পদ কর আরহণের কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হলেও, মধ্যবিত্তকে আরও কী করে বেশি বেশি করের আওতায় আনা যায় সেই কথাই বলেছেন অর্থমন্ত্রী। আর যেখানে বিদেশে অর্থ চাপর আইনত দণ্ডনীয়, সেই অর্থ ফিরিয়ে এনে জব্দ করার দাবি উঠেছে, সেই লক্ষ্যে দুদকসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের ইন্টেলিজেন্স ইউনিট কাজ করছে; সেখানে পাচার করা অর্থ ও তার মাধ্যমে অর্জিত সম্পদকে আইনি বৈধতা দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ঋণ খেলাপির অর্থ ফিরিয়ে আনতে এই অর্থমন্ত্রী যে ছাড় দিয়েছিলেন তাতে খেলাপি ঋণ আরও বেড়েছে। এখন পাচার করা অর্থকে আইনি বৈধতা দেওয়ায় তাতে ওই পাচারকে আরও উৎসাহিত হবে। ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাজেট আরেকবার প্রমাণ করল বাংলাদেশের অর্থনীতি-রাজনীতি ক্ষুদ্র ধনিকগোষ্ঠী সামরিক-বেসামরিক আমলাগোষ্ঠীর কর্তৃত্বাধীন চলে গেছে। বাজেট তাদের স্বার্থই দেখেছে, জনগণের নয়। বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে ঠিকই। কিন্তু সেই উন্নয়নের পেছনে মূল শক্তি যে কৃষক, প্রবাসী শ্রমিক, গার্মেন্টস শ্রমিক, নারী ও উদ্যোক্তা তারা অতীতের মতো এবারও বাজেট সুবিধার বাইরে থাকবে। এদিকে মুখ না ফেরালে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার বাহাবা আপাতত পাওয়া যাবে ঠিকই, কিন্তু এই উন্নয়ন টেকসই হবে না। এসডিজির ‘কাউকে পেছনে ফেলে নয়’ গল্পকথা হয়ে থাকবে।

বাজেটে বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ সম্পর্কে বলতে গিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে বলা হয়, কোভিডকালীন অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যেখানে স্বাস্থ্যখাতে আরও বরাদ্দ দেওয়ার প্রয়োজন, সেখানে টাকার হিসেবে বরাদ্দ বাড়লেও, বাজেটের অনুপাত হিসেবে তা একেবারেই নগন্য। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই বরাদ্দেই সন্তুষ্ট। কারণ, এই বরাদ্দ ব্যয় করার সক্ষমতাও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেই, বরং দুর্নীতির মহোৎসব আছে সেখানে। শিক্ষাখাতে বরাদ্দে জিডিপির অনুপাত সেই দুই শতাংশেরই নিচে। আর কোভিডের কারণে শিক্ষা ক্ষেত্রে বাধ্যগতভাবেই ডিজিটালাইজেশন প্রসার ঘটেছিল, এখন ল্যাপটপের দাম বাড়িয়ে তাকেও বাধাগ্রস্ত করা হলো। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে অর্থ বেড়েছে, তবে তা মূলত পেনশনের টাকা। প্রতিবন্ধী ছাড়া অন্যদের ভাতা বৃদ্ধি পায়নি। অন্যদিকে ‘মেডিটেশনে’র মতো মানসিক প্রশান্তি ও বৃদ্ধির পদ্ধতির উপর আবার মুসকের আক্রমণ চালান হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ