পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ঢাকা শহরে যে কোনো ধরনের ইমারত নির্মাণ করলে সেখানে অবশ্যই সোক-ওয়েল ও সেফটিক ট্যাঙ্ক থাকতে হবে। না থাকলে সেসব স্থাপনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স ও বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা (ইউআরপি) বিভাগ কর্তৃক বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এসব কথা বলেন।
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশনের যে নর্দমাগুলো করা হয়েছে, সেই নর্দমাগুলো শুধু পানি নিষ্কাশনের জন্য। সেগুলো পয়োবর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য নয়। নগরবাসী পয়োবর্জ্যরে সংযোগগুলো নর্দমায় দিয়ে দেয়। যার কারণে এই নর্দমাগুলো থেকে পয়োবর্জ্য খালে গিয়ে পৌঁছায়। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি পহেলা জুলাই থেকে আমরা সেটা কঠোর বাস্তবায়নে যাবো। ঢাকা শহরে যেকোনো ইমারত নির্মাণ করলে তাহলে অবশ্যই অবশ্যই সেখানে সোক ওয়েল থাকলে হবে, সেফটিক ট্যাঙ্ক থাকতে হবে। এটা আবশ্যকীয়। এটার আইন আছে। সেই আইনের কঠোর বাস্তবায়নে যাবো।
শেখ তাপস বলেন, খালগুলোর যে পানি তা দেখলে আপনাদের কারো ভালো লাগবে না। কারণ আমাদের সকল পয়োবর্জ্য নিষ্কাশন হয় এসব খাল দিয়ে। অথচ খালগুলো দিয়ে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের কথা। কিন্তু সেখানে বৃষ্টির পানির সাথে পয়োবর্জ্য যোগ হয়ে খালগুলো পয়ঃনিষ্কাশনের একটি ব্যবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঢাকা শহরের ব্যবস্থাপনার জন্য সময় প্রয়োজন। আমরা সারাদিনই ঢাকার উপর অত্যাচার করব আর ঢাকা আমাকে সুন্দর পরিবেশ উপহার দেবে সেটা কামনা করা যৌক্তিক নয়। আগামী ১ জুলাই হতে ঢাকা শহর রাত ৮টার পর বন্ধ করার জন্য আমরা উদ্যোগ নেবো। অবশ্য রেস্তোরাঁ ও অত্যাবশ্যকীয় যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলা থাকবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন প্রথমবারের মতো দীর্ঘমেয়াদী যে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করছে তাতে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত ও অভিযোজন বিবেচনায় নেয়া হবে বলে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস জানান। সেজন্য এ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা ও মতামত গ্রহণ করা হবে।
সেমিনারে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রণয়ন প্রকল্পের টিম লিডার ড. আইনুন নিশাত জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। বিআইপির সভাপতি পরিকল্পনাবিদ ফজলে রেজা সুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বুয়েটের ভিসি সত্য প্রসাদ মজুমদার, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহিদ উল্লা খন্দকার, জিআইজেড বাংলাদেশের এ্যাডাপটেশন অব আরবান এরিয়াস টু ক্লাইমেট চেইঞ্জ এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ড. ডানা দে লা ফনটেইন বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।