পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর ওয়ারীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় তিন পুলিশ সদস্যকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) ওয়ারী বিভাগের ডিসি আশরাফ হোসেন এতথ্য জানান।
তিনি বলেন, রাজধানীর ওয়ারীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় উল্টোপথে আসা মোটরসাইকেল আটকে কাগজপত্র দেখতে চাওয়াকে কেন্দ্র করে ট্রাফিক সার্জেন্টসহ তিন পুলিশ সদস্যকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার দিন ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জনসহ মোট ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে অজ্ঞাত সাড়ে চারশ জনের বিরুদ্ধে শ্যামপুর থানায় মামলা হয়।
ওয়ারী বিভাগের ডিসি শাহ ইফতেখারুল আলম জানান, সকাল পৌনে ১০টার দিকে জুরাইন রেলগেট এলাকায় উল্টোপথে আসছিল একটি মোটরসাইকেল। তাতে এক নারীসহ দুইজন আরোহী ছিলেন। কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট আলী হোসেন কাগজপত্র দেখতে চাইলে মোটরসাইকেল চালক অত্যন্ত দুর্ব্যবহার শুরু করেন। পোশাক ও অন ডিউটিতে থাকা ট্রাফিক সার্জেন্টের পরিচয়পত্র দেখতে চার্জ করেন মোটরসাইকেল চালক। পরে দুইজনকে পুলিশ বক্সের নেওয়া হলে সঙ্গে থাকা নারী উত্তেজিত হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন।
তখন আশপাশে থাকা সুযোগ সন্ধানী লোকজন নারী লাঞ্ছনার অভিযোগ তুলে সার্জেন্টকে বেধড়ক মারধর করে পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালায়। অভিযুক্ত মোটরসাইকেল চালক সার্জেন্টের বুকের ওপর পা তুলে চেপে বসেন। এ সময় ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার মধ্য থেকে একজন সার্জেন্টের হাতে ছুরিকাঘাত করেন। সার্জেন্টকে উদ্ধারে আসা পুলিশের এক এসআই ও এক কনস্টেবলকে বেধড়ক মারধর ও ধাওয়া করা হয়। পরে শ্যামপুর থানা পুলিশ খবর পেয়ে অতিরিক্ত ফোর্স পাঠিয়ে তাদের উদ্ধার করে। আহত তিন পুলিশ সদস্যের মধ্যে সার্জেন্ট আলী হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার হাতে ২১টি সেলাই দিতে হয়েছে।
অন্যদিকে ঘটনার সূত্রপাতের পরপরই জুরাইন রেলগেট পুলিশ বক্সের ভেতরে ফেসবুক লাইভে এসে অভিযোগ করে সোহাগ-উল ইসলাম রনি নামের একজন বলেন, ঘুষ নেওয়ার সময় তিনি উপস্থিত হলে পুলিশ সদস্যরা তার সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়ায়। পুলিশ বক্সে এনে মারধর করে। পরে উত্তেজিত জনতা পুলিশ বক্সে হামলা করে ও পুলিশ সদস্যদের মারধর করে। পুলিশের ওপর হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। সেখানে একটি ছোট ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে অনেকেই বলছেন, হয়রানির প্রতিবাদে জুরাইনের স্থানীয়রা পুলিশ সদস্যদের মারধর করেছেন।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে ওয়ারী ট্রাফিক বিভাগের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, উল্টো পথে একজন নারীকে নিয়ে মোটরসাইকেল চালানোর সময় চালককে থামাতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার শুরুটা ধরা পড়ে ট্রাফিক সার্জেন্টের শরীরের সঙ্গে থাকা ক্যামেরায়। সেখানে দেখা যায়, চালকের কাছে মোটরসাইকেলে কাগজ চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। ওই মোটরসাইকেলে থাকা নারী ও পুরুষ নিজেদের আইনজীবী ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ইউনিফর্মে থাকা সার্জেন্টের কাছে উল্টো তার পরিচয়পত্র দেখতে চান।
ডিসি সাইদুল বলেন, হঠাৎ মোটরসাইকেলে থাকা নারী চিৎকার করতে শুরু করেন,গায়ে হাত দিলেন কেন বলে। ক্যামেরায় ওই নারীর ভিডিও আসেনি। তিনি মোটরসাইকেল থেকে নেমে পাশে দাঁড়িয়ে ওই ভাবে চিৎকার-চেঁচামেচি করছিলেন। ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ দেখে ডিসি সাইদুল বলেন, এরপরই রাইড শেয়ার করা মোটরসাইকেল চালকসহ আশপাশের মানুষ কিছু না জেনেই সার্জেন্টের ওপর হামলা করেন। উত্তেজিত জনতা পাশের ট্রাফিক পুলিশ বক্সেও হামলা চালান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।