পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে বেপরোয়া কর্মকা- অব্যাহত রাখায় ক্ষুব্ধ গভর্নর শাসালেন নয়টি নতুন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের। গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ডেকে এনে তাদের সর্তক করেন গভর্নর ফজলে কবির। কথা না শুনলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি। এমনকি, এমডিদের নিয়োগ বাতিল করা হতে পারে বলে সতর্ক করেন গভর্নর। জবাবে ব্যাংকের বোর্ডের কাছে নিজেদের অসহায়ত্বের কথা জানান এমডিরা। তারা গভর্নরকে বলেন, ক্ষমতাশালী বোর্ড সদস্যদের চাপে অনেক কাজ বাধ্য হয়ে করতে হয় তাদের। এখানে তাদের কিছুই করার থাকে না। এসব চাপ এড়িয়ে এমডিদের সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন গভর্নর। বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
রাজনৈতিক কারণে ২০১২ সালে অনুমোদন পাওয়া নয়টি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ পরিস্থিতি ও কর্পোরেট সুশাসন বিষয়ে এসব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের নিয়ে বৈঠক ডাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল বিকেলের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গভর্নর ফজলে কবির, ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী ও আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান। এমডিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাউথ বাংলার মো. রফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন ব্যাংকের মো. আবদুল হামিদ মিয়া, মধুমতির মো. শফিউল আজম, এনআরবি’র মো. মেহমুদ হুসাইন, এনআরবি গ্লোবালের প্রসান্ত কে হালদার, এনআরবি কমার্শিয়ালের দেওয়ান মুজিবুর রহমান, মেঘনা ব্যাংকের মোহাম্মদ নুরুল আমিন, মিডল্যান্ডের মো. হাসান-উজ-জামান ও ফারমার্স ব্যাংকের এ কে এম শামীম।
জানা গেছে, বারবার সতর্ক করার পরও ঋণ জালিয়াতিসহ নানা অনিয়ম অব্যাহত রাখে নতুন ব্যাংকগুলো। এ জন্য গতকাল বৈঠক ডেকে কঠোরভাবে সতর্ক করে দেয়া হয় প্রধান নির্বাহীদের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এসব ব্যাংকের বোর্ডে ক্ষমতাসীন দলের অনেক উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিরা রয়েছেন। যে কারণে ব্যাংকিং বিধিমালা পরিপালন করতে অনিহা এসব ব্যাংকের। ব্যাংকগুলো ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো ঋণ বিতরণসহ অন্যান্য কর্মকা- পরিচালনা করছে। অনেক এমডি আছেন যারা এসব ক্ষমতাশালী বোর্ড সদস্যদের ঘনিষ্ট লোক। এসব এমডিরা ওই শক্তির জোর দেখিয়ে অনেক সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে পাত্তা দিতে চান না। তাই এসব এমডিদের ডেকে শক্ত বার্তা দেয়া হয়েছে, অনিয়ম অব্যাহত রাখলে কঠোর শাস্তি পেতে হবে তাদের।
বৈঠকের শুরুতে ব্যাংকগুলোর সার্বিক অবস্থা উত্থাপন করা হয়। পাশাপাশি প্রতিটি ব্যাংকের বিরুদ্ধে থাকা সুনির্দিষ্ট অভিযোগগুলো সামনে আনা হয়। এর প্রতিটি অভিযোগের ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয় উপস্থিত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে। সভার শেষ পর্যায়ে এমডিদের সতর্ক করে বক্তব্য রাখেন গভর্নর।
এদিকে ঋণ খেলাপি বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নতুন ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ বাড়ছে অস্বাভাবিক গতিতে। গত বছরের ডিসেম্বরে যেখানে নয়টি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল ৪৪ কোটি টাকা, সেখানে সেপ্টেম্বর শেষে এই পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫শ’ ৬১ কোটি টাকায়। নতুন ব্যাংকগুলোর মাত্র সাড়ে তিন বছরের কার্যক্রমে বিতরণকৃত ঋণের প্রায় আড়াই শতাংশই খেলাপি হয়ে পড়েছে যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, গত তিন বছরে নতুন ব্যাংকগুলোতে ঋণ বিতরণে যে হারে জালিয়াতি হয়েছে তাতে আগামি দুই বছরের মধ্যে এসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। এটা বিপর্যয় নিয়ে আসবে অর্থনীতিতে। তাই এসব ঋণ কিভাবে আদায় করা যায় তা নিয়েও ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।