পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘১০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে চাকরি দেন মন্ত্রী, সে পথ বন্ধ করেছি। পিএসসির মতো পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা নিয়েছি। এত দিন মন্ত্রীরা যা করেছে, আর করবে না।’ গতকাল (সোমবার) জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) সম্মেলন কক্ষে, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ছয়টি ভেন্যুতে প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ছয়টি ভেন্যু হলোÑ ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম, পাবনা, ফেনী ও বরিশাল ক্যাম্পাসে পঞ্চম ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রেনিং কোর্স।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতি গঠনে শিক্ষকদের গুরুত্ব তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কিছু শিক্ষক আছেন যারা টাকা নিয়ে ক্লাসরুমে এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর বলে দেন। যে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা নেয়া হচ্ছে, তার কি ধারণা হবে শিক্ষকদের সম্পর্কে? আবার ওই শিক্ষার্থীর বাবাকেও ঘুষ খেয়ে বাড়তি টাকা উপার্জন করে ছেলে-মেয়েদের পড়াতে হয়। তাহলে ওই ছেলে-মেয়েরা তাদের বাবাকেও ঘৃণা করবে। শিক্ষককে তো সম্মান করবেই না।
শিক্ষকদের সম্মানের বিষয়টি তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ আছে। আমরা এখন পিএসসির মতো পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করেছি। এতে মেধাবী শিক্ষকদের বাছাই করার সুযোগ আছে। কিছু লোকের অসুবিধা হতে পারে। তবে শিক্ষকরা বিড়ম্বনা থেকে বাঁচবেন। হয়তো অনেকেই বলবেন, তুমি মন্ত্রী, বসে বসে বড় বড় কথা বলো, নীতি-নৈতিকতার কথা বলছ, আর তোমাকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি নিছি।’ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যা করেছি, আর করব না। মাফ করে দাও। আমরা এখন সেই পথ বন্ধ করেছি।’
শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব ইউকের মালয়েশিয়া ক্যাম্পাসে আট হাজার ৫৭৫ জন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন ৭০০ কলেজের সাত হাজার শিক্ষক, মাস্টার ট্রেইনার ৩০০, অধ্যক্ষ ৭০০, একাডেমিক স্টাফ ৫০০ জন এবং ৭৫ জন নীতিনির্ধারক অংশগ্রহণ করবেন এই প্রশিক্ষণে।’
শিক্ষকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাইকে হয়তো বিদেশে প্রশিক্ষণ দিতে পারব না। তবে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে জাতি গঠনে শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নয়ন করা হবে। ছেলে- মেয়েদের শিক্ষিত করতে না পারলে, ভালো মানুষ তৈরি করতে না পারলে দেশের উন্নয়ন হবে না। সেদিকটি বিবেচনা করবেন। আপনারাই পারেন দেশ ও জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।