পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণতন্ত্রে যে কোনো নীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অংশীজনের ঐকমত্যের ওপর গুরুত্ব দেয়া জরুরী বলে মনে করছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা। ইউ হ্যাভ টু ফাইন্ড কমন গ্রাউন্ড। যাতে সবাই একমত হয়ে কাজ করতে পারেন। গণতন্ত্রে এটা দরকার পলিটিক্যাল লেভেলে। তারপর ইমপ্লিমিন্টেশিন।
গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজুল ইসলাম লেকচার হলে ‘দ্য পলিটিক্স অব পলিসি মেকিং’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের আয়োজনে এম এ জি ওসামানী স্কলারশিপ ফা-ের উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, পলিসি নেওয়া সহজ কাজ নয়। তখন পলিটিক্সের কথা আসে। রাজনীতিতে যা করতে হয়- কিছু জিনিস দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে হয়; কিছু ছাড় দিতে হয়। কিছু সংযোজন-বিয়োজন করতে হয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনীতিতে মতামত নিয়ে তা করা হয়।
সাবেক সচিব শামসুল হুদা বলেন, নীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সবাইকে সন্তুষ্ট করা সম্ভব নয়। কোনো কাজই সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারে না। ক্ষতি হবে কিছু; কিন্তু মেজরিটির ভালো হওয়া চাই।
তিনি জানান, পাঠ্যপুস্তকে অনেক বিষয়ে সুন্দর করে লেখা থাকলেও বাস্তবজীবনে নীতি বাস্তবায়নে পর্দার অন্তরালের বিষয়গুলো মুখ্য হয়ে ওঠে। কলকাঠি নাড়ার লোক রয়েছে। সব কিছুর মধ্যে স্টেকহোল্ডার রয়েছে। স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ইন্টারেস্ট গ্রুপ থাকবে; তারা মতামত জাহির করবেন। আবার অনেকের আপত্তি থাকলেও তা প্রকাশ পাবে না।
তার মতে, যে কোনো নীতি বাস্তবায়নে ইন্টারেস্ট গ্রুপ থাকা দরকার, তা না হলে নীতি নির্ধারণে কোনো নিয়মের বালাই থাকবে না। এককভাবে কেউ কিছু বললে তা গুরুত্বপূর্ণ পায় না, গণতন্ত্রে প্রয়োজন জনগণের ঐক্যমত্য। ইউ হ্যাভ টু ফাইন্ড কমন গ্রাউন্ড। যাতে সবাই একমত হয়ে কাজ করতে পারেন। গণতন্ত্রে এটা দরকার পলিটিক্যাল লেভেলে। তারপর ইমপ্লিমিন্টেশিন।
মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি আতাউল গণি ওসমানীর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শামসুল হুদা বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি ছিলেন স্পষ্টবাদী, নির্ভীক ব্যক্তি। এ অনুষ্ঠানে ইতিহাস বিভাগের ১৯ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি এবং সাতজনকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।
অধ্যাপক সোনিয়া নিশাত আমিনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, এম এ জি ওসামানী স্কলারশিপ ফান্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিরিন হাসান ওসমানী বক্তব্য রাখেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক হিসেবে ৫১ বছর আগের স্মৃতির কথা তুলে ধরেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।