পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (বেফাক)-এর কার্যনির্বাহী পরিষদের জরুরি সভায় কওমি মাদরাসার স্বকীয় বৈশিষ্ট্য বজায় রাখার ওপর পুনরায় জোরালো তাগিদ দেয়া হয়েছে। গতকাল দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসায় অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বেফাক সভাপতি আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
সভায় বেফাকের বক্তারা বেফাকের কওমি মাদরাসা সনদের মানের সরকারি স্বীকৃতি গ্রহণের ক্ষেত্রে একমত পোষণ করেন। তারা বলেন, দারুল উলূম দেওবন্দের ৮টি মূলনীতি অক্ষুণœ রেখে মাদরাসা পরিচালনায় কোনোরূপ সরকারি নিয়ন্ত্রণ এবং সিলেবাসে হস্তক্ষেপ ছাড়া স্বকীয় বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে বেফাকের মাধ্যমে দাওরায়ে হাদিসের সনদের মান গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। কোনো ধরনের প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সরকারি নিয়ন্ত্রণ এবং কওমি বৈশিষ্ট্য ও ভারতের দারুল উলূম দেওবন্দের উসুলে হাসতেগানা বা অষ্ট নীতিমালার সাথে কোনোরূপ আপস করে সনদের মান গ্রহণের সুযোগ নেই। কওমি সনদের বিষয়ে বেফাকের নীতিগত অবস্থান তুলে ধরার জন্য শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১০ সদস্যের বেফাক প্রতিনিধিদল আল্লামা শাহ আহমদ শফীর চিঠি হস্তান্তর করবেন বলেও সভায় জানানো হয়।
বেফাকের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল জাব্বার জাহানাবাদীর ইন্তেকালে সভায় কাউন্সিল অধিবেশন পর্যন্ত ঢাকা ফরিদাবাদ মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আব্দুল কুদ্দুসকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়। বর্তমান সহকারী মহাপরিচালক মাওলানা যোবায়ের আহমাদ চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয়।
বেফাকের সভায় আরাকানের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন কর্তৃক বর্বরোচিত হত্যাকা-, ধর্ষণ, বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে উচ্ছেদসহ জাতিগত নির্মূল অভিযানের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও কঠোর প্রতিবাদ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি জাতিসংঘ, ওআইসিসহ আন্তর্জাতিক ফোরামে রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানানো হয়। বেফাক কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় বি-বাড়ীয়ার নাসিরনগরসহ দেশের কয়েকটি স্থানে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সংখ্যালঘুদের স্বাধীনভাবে ধর্মকর্ম পালনসহ তাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আল্লামা আশরাফ আলী, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস ফরিদাবাদ, মাওলানা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, মাওলানা আনওয়ার শাহ, মাওলানা সাজেদুর রহমান, মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা যোবায়ের আহমাদ চৌধুরী, মাওলানা নূরুল ইসলাম, মুফতি নূরুল আমীন, মাওলানা মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা ছফি উল্লাহ, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি ওমর ফারুক, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, মাওলানা আনোয়ারুল করীম, মাওলানা ইয়াসীন, মাওলানা মুনীরুজ্জামান, মাওলানা আব্দুর রহমান, মাওলানা নূরুল হুদা ফয়জী, মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন রাজু, মাওলানা মাসউদুল করীম, মুফতি গোলামুর রহমান, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম, মাওলানা মোস্তাক আহমদ, মাওলানা আইনুদ্দীন, মাওলানা আব্দুল হামিদ কুষ্টিয়া, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস মিরপুর প্রমুখ।
সভায় বেফাকের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে অতিরিক্ত আরো ৫ জনকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তারা হলেনÑ মাওলানা সাজেদুর রহমান বি-বাড়ীয়া, মাওলানা সফি উল্লাহ, মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, মাওলানা আবদুর রব লালবাগ ও মাওলানা মোসলেহ উদ্দীন রাজু।
বেফাকের কার্যক্রম পরিচালনায় আরো স্বচ্ছতা আনয়ন ও সহজতর করার লক্ষ্যে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেনÑ মাওলানা আশরাফ আলী, মাওলানা আনোয়ার শাহ, মাওলানা মুফতি ওয়াক্কাস, মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস ফরিদাবাদ, মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা সাজেদুর রহমান, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মুফতি নূরুল আমীন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।