পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থমন্ত্রীর ডিও লেটারে পাল্টে গেছে হিসাব-নিকাশ। রেলমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে অর্থমন্ত্রী ঢাকা-সিলেট রেলপথে জয়ন্তিকা, উপবন ও উদয়ন এক্সপ্রেসে নতুন ১৫টি করে কোচ বরাদ্দের অনুরোধ জানিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী যখন ডিও লেটার দিলেন তখন ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা লাল সবুজ কোচ বণ্টনের প্রক্রিয়া চলছিল। রেল সূত্র জানায়, আপাতত লাল সবুজ কোচ পাচ্ছে না ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের তূর্ণা নিশিতা। বাদ পড়ছে মহানগর প্রভাতী ও গোধূলি। আর সুবর্ণ তো হিসাবেই ছিল না। অন্যদিকে, ব্রডগেজে লাল সবুজ কোচ পাচ্ছেÑ ঢাকা-দিনাজপুর রেলপথের একতা ও দ্রুতযান এবং ঢাকা-সিরাজগঞ্জ রেলপথের সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, গত ১৬ নভেম্বর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত রেলমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হককে নতুন একটি ডিও লেটার দিয়েছেন। তাতে রেলমন্ত্রীকে তিনি লিখেছেন, ‘আগে থেকেই উপবন, জয়ন্তিকা, উদয়ন এক্সপ্রেসে অতিরিক্ত কোচ সংযোজনের দাবি তুলে ধরেছি। ইতোমধ্যে কিছু কোচ রেল মন্ত্রণালয় আমদানি করেছে। আশা করবো প্রতিটি ট্রেনে ১৫টি করে কোচ বরাদ্দ করবেন।’ চিঠিতে অর্থমন্ত্রী আখাউড়া-সিলেট রেলপথকে ডুয়েল গেজ ও ডাবল লাইনে রূপান্তরের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিতেও অনুরোধ করেন। অর্থমন্ত্রীর এই ডিও আসার পর রেল মন্ত্রণালয় নড়েচড়ে বসেছে। নতুন কোচ বণ্টনের সব হিসাব নিকাশ পাল্টে যেতে বসেছে। কথা ছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে তূর্ণা নিশিতার দুটি কোচ কমিয়ে লাল সবুজ কোচ দেয়া হবে। এতে করে একই রেলপথের মহানগর প্রভাতী ও মহানগর গোধূলিতেও নতুন কোচ লাগবে। কারণ দুটি তূর্ণার কোচ দিয়ে পরদিন সকালে ঢাকা থেকে মহানগর প্রভাতী ও বিকালে চট্টগ্রাম থেকে মহানগর গোধূলি চলাচল করে। রেলওয়ে সূত্র জানায়, অর্থমন্ত্রীর ডিও লেটারের পর সব বাদ দিয়ে এখন সিলেট রুটের দুটি ট্রেনে লাল সবুজ কোচ সংযোজনের চিন্তা-ভাবনা চলছে। রেলওয়ের উর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা জানান, রেল মন্ত্রণালয়ে অর্থমন্ত্রীর এটা দ্বিতীয় ডিও লেটার। কয়েকমাস আগে তিনি আরও একটি ডিও লেটার দিয়েছিলেন। সেসময় তিনি ঢাকা-সিলেট রেলপথের পারাবত এক্সপ্রেসে নতুন কোচ সংযোজনের দাবি করেছিলেন। এবার পাঠানো ডিও লেটারে অর্থমন্ত্রী জয়ন্তিকা, উপবন এবং উদয়ন এক্সপ্রেসে নতুন কোচ সংযোজনের দাবি তুলেছেন। এই ডিও লেটারে অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, ‘‘সারাদেশে ডুয়েলগেজ রেললাইন গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে। সিলেটের দাবিও ডুয়েলগেজের স্বপক্ষে। এরই অংশ হিসেবে আখাউড়া-সিলেট সেকশনকে ডাবললাইনে রূপান্তরের জন্য বিশেষ উদ্যোগ এখন প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। এদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।’’
রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অর্থমন্ত্রীর ডিও লেটারকে গুরুত্ব দিয়ে সিলেট রুটের ট্রেনগুলোকেই আগে নতুন কোচ দেয়া হবে। সেক্ষেত্রে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম রুটের কোনো ট্রেনই আর লাল সবুজ কোচ পাচ্ছে না। অন্যদিকে, ইন্দোনেশিয়ার ইনকা লাল সবুজ কোচ পাচ্ছে ব্রডগেজের একতা, দ্রতযান ও সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস। এর মধ্যে প্রথম দুটি ট্রেন ঢাকা থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত চলাচল করে। ঢাকা-রাজশাহী ও ঢাকা-খুলনা রুটের ৫টি ট্রেনে ভারত থেকে আমদানি করা এলএইচবি লাল সবুজ কোচ সংযোজনের পর গত সেপ্টেম্বর মাসে একতা ও দ্রুতযানে সাদা কোচ লাগানো হয়। তিন মাসের মাথায় এই দুটি ট্রেনে লাল সবুজ কোচ যুক্ত হচ্ছে। আগামী সপ্তাহেই এই দুটি ট্রেনে নতুন কোচ সংযোজন করা হবে বলে রেলভবন সূত্র নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে, ঢাকা-সিরাজগঞ্জ রুটের সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসও পাচ্ছে লাল সবুজ কোচ। ইতোমধ্যে এই রুটে লাল সবুজ কোচের ট্রায়াল রানও সম্পন্ন হয়েছে। সূত্র জানায়, রেলওয়ের মহাপরিচালকের বাড়ি সিরাজগঞ্জ। সে কারণে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসকে একটু বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ও লাভজনক রুট বাদ দিয়ে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসে লাল সবুজ কোচ দেয়া হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ রেল স্টেশনেও দ্রুতগতিতে চলছে লুপ লাইন নির্মাণের কাজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।