পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জামায়াতে ইসলামীর শক্তিশালী সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন
প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব চাটার্ড সেক্রেটরিজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি)। প্রতিষ্ঠানটির ১৩ জন নির্বাচিত কাউন্সিলরের মধ্যে পাঁচজন জামায়াতের রোকন ও একজন নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরিরের সদস্য বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। এই সিন্ডিকেট প্রতিষ্ঠানটির দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও স্বানামধন্য কয়েকজন পরিচালককে সরিয়ে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করেছে। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের কাউন্সিলররা কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত রাজনৈতিক দলটির এই সিন্ডিকেটের কাছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আইসিএসবি’র বর্তমান প্রেসিডেন্ট মো সানাউল্লাহ, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. বুল হাসান, ভাইস প্রেসিডেন্ট সেলিম রেজা ও কাউন্সিল সদস্য মো. শহিদ ফারুকী জামায়াতে ইসলামীর রোকন এবং সদস্য সেলিম আহমেদ হিজবুত তাহরিরের ক্যাডার। তারা নামে-বেনামে পাসপোর্ট ব্যবহার করে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও তুরস্ক গিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের লবিস্ট নিয়োগ ও তাদের অর্থায়নের তদারকি করে আসছেন।
জানা গেছে, জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন। তারা চাইলেই বিদেশে যেত পারছেন না। তাই এই কাজে এসব লোকদের ব্যবহার করছে দলটি। কারণ এরা কখনো গোয়েন্দাদের সন্দেহে আসবে না। তাই নির্বিঘেœ লবিস্ট নিয়োগ ও সম্পদের তদারকি করতে পারবেন।
আইসিএসবি’র শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই সিন্ডিকেটটি দীর্ঘদিন ধরে ইনস্টিটিউটের ক্লাস নেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে জামায়াতি জঙ্গি আদর্শ ঢুকিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। এই চক্র আইসিএসবি’র মূল ডিপার্টমেন্ট শিক্ষা কমিটি ও পরীক্ষা কমিটি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করে আসছে। তারা এসব কমিটিতে থেকে জামায়াতি আদর্শের শিক্ষার্থীদের বেশি নম্বর পাইয়ে দিয়ে সহজে পাস করিয়ে দিচ্ছে। তাই সহজে পরীক্ষায় পাস করার জন্য অনেক শিক্ষার্থী তাদের দলে ভিড়ছে। এভাবে গত কয়েকবছর ধরে তাদের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে ইনস্টিটিউটটি পুরো দখলে নিয়ে নিয়েছে।
জানা গেছে, বর্তমান সরকারপ্রধান নিজ উদ্যোগে ২০১০ সালে জাতীয় সংসদে ২৫নং চার্টার্ড সেক্রেটারি আইন পাশের মাধ্যমে চার্টার্ড সেক্রেটারি পেশার উন্নয়ন, বিকাশ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারি অব বাংলাদেশ নামে একটি স্বায়ত্বশাসিত ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি জামায়তি চক্রে আবদ্ধ হয়ে পড়ায় বর্তমান সরকারের উদ্দেশ ব্যহত হতে বসেছে। প্রতিষ্ঠানটিকে এই চক্রের হাত থেকে মুক্ত করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও সদস্যরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।