পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতে ইসলামী ব্যাংকিং চালু করতে চায় রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদবিহীন (ইসলামিক উইন্ডো)-এ ব্যাংকিং পদ্ধতি চালুর ব্যাপারে সরকারকে সুনির্দিষ্ট একটি প্রস্তাবও দিয়েছে।
২০১৫ সালেও এ ব্যাপারে শীর্ষ ব্যাংক একটি কমিটি করেছিল। যারা সুদহীন ইসলামী ব্যাংকিং চালুর প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও রাজনৈতিক বাধায় তা এগোয়নি। কিন্তু এবার দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনেকটা আটঘাট বেঁধেই মাঠে নেমেছেন।
ভারতের সংবাদ মাধ্যম ‘দ্য হিন্দু’ জানিয়েছে, গত সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনে ইসলামী ব্যাংক চালুর ব্যাপারে প্রস্তাব করা হয়। ওই সময় থেকেই রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার গভর্নর হিসেবে কাজ শুরু করেন উরজিত পাতিল। বিষয়টি নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে ভারতের অর্থ ও বাণিজ্য পরিসরে। গত রোববার বিষয়টি নিয়ে জনমত জরিপের আয়োজনও করেছে দ্য হিন্দুর অর্থনীতিবিষয়ক সাময়িকী বিজনেস লাইন। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই প্রস্তাবে বলা হয়, ভারতের মুসলমান ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।
ভারতে ১৮০ মিলিয়ন মুসলমান বসবাস করেন। মুসলমানরা ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জনগোষ্ঠী। ইসলামী রীতিতে সুদপ্রথা নিষিদ্ধ। এ কারণেই ইসলামী ব্যাংকিংয়ের ধারণার উৎপত্তি।
এর আগে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সমবায়, বিনিয়োগ তহবিলের মতো ব্যাংকিং খাতের বাইরের প্রতিষ্ঠানে ইসলামি অর্থায়ন হতে পারে। তবে এখন সরাসরিই ইসলামি ব্যাংকিং চালুর ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক।
ভারতে ইসলামি ব্যাংকিং চালুর ব্যাপারে পার্লামেন্টে একটি সংশোধনী পাস করাতে হবে। তবে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি খুবই ধীরগতিতে এগুচ্ছে। কেননা আমলাতন্ত্র ও ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এর শক্ত বিরোধিতা করছে। এমতাবস্থায় রিজার্ভ ব্যাংক বলছে, বিশ্বের অনেক দেশেই সুদহীন ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু থাকলেও ভারতের ব্যাংকগুলোর এ রকম কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তাই ধাপে ধাপে এই ব্যবস্থা চালু করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে কিছু ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে। পরে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পুরোপুরি ইসলামিক ব্যাংকিং চালু করা হবে।
সুদ থেকে বাঁচতে মুসলমানদের অনেকেই ব্যাংকে টাকা রাখেন না। নগদে ব্যবসা করেন। কেন্দ্রীয় সরকার ৫০০ এবং হাজার টাকার নোট বাতিল করার পর তারা অনেকেই বিপাকে পড়েছেন। নতুন ব্যবস্থা চালু হলে তাদের ব্যাংকিং পরিষেবার আওতায় আনা যাবে। সেই সঙ্গে মোদী সরকারের অন্যতম কর্মসূচি ‘সবার জন্য ব্যাংকিং পরিষেবা’ও অনেকটা এগিয়ে যাবে।
ভারতে মুসলমানদের জন্য ইসলামী ব্যাংকিংয়ের দরজা খোলার প্রথম প্রস্তাব করেন রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) সাবেক গভর্নর রঘুরাম রাজন। সেই প্রস্তাবকে বর্তমান গভর্নর উরজিত পাটেল গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়ে তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছেন।
এর আগে বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা মুসলমানদের জন্য ইসলামী ব্যাংকিং সুবিধা পৌঁছে দিতে চেয়েছিল ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড বা সমবায়ের মাধ্যমে। কিন্তু নানা কারণে তা আর আলোর মুখ দেখেনি। সূত্র : ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।