পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতিসঙ্ঘের সামরিক হস্তক্ষেপ কামনা
রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর মিয়ানমার সরকার ও সেদেশের সেনাবাহিনীর সম্প্রতি চালানো বর্বরোচিত গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শক্তিসমূহের দৃঢ় হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। অবিলম্বে এ গণহত্যা বন্ধ না করা হলে মিয়ানমারের সাথে সব কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন ও দূতাবাস ঘেরাওয়েরও হুমকি দেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায় বিভিন্ন ইস্যুতে মানবতা রক্ষার কথা বললেও মিয়ানমারের সংখ্যালঘুদের ওপর চালানো এই নির্যাতনের ব্যাপারে তারা একেবারে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা অং সান সুচির নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রত্যাহারের দাবি তোলেন ও নোবেল কমিটির সমালোচনা করেন। তারা বলেন, সুচির শান্তিতে নোবেল প্রত্যাহার করা না হলে যেন হিটলারকেও মরণোত্তর নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান করা হয়। শিক্ষার্থীরা জাতিসংঘ ও ওআইসির কঠোর সমালোচনা করে বলেন, তারা বিশ্বের কোথাও মুসলিমদের ওপর নির্যাতন হলে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখান না এটা তাদের বর্ণবাদী আচরণের ঘৃণ্য বহিঃপ্রকাশ। তারা অবিলম্বে মিয়ানমারে সংখ্যালঘুদের ওপর পরিচালিত গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘের সামরিক হস্তক্ষেপও কামনা করেন।
আরাকান রাজ্যে গণহত্যার প্রতিবাদে এ মানববন্ধন আয়োজন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় পাঁচ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত হতে না পেরে মুঠোফোনে সংহতি জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বেগম আকতার কামাল, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শিবলী রোবাইয়াতুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রফেসর ড. আমজাদ আলী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও এ মানববন্ধনে সংহতি জানানো হয়। সংগঠনগুলো হচ্ছেÑ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার, স্লোগান ৭১, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কালচারাল সোসাইটি ও মাইম অ্যাকশন।
মানববন্ধনে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর ড. মো: মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘মিয়ানমারের মুসলিমদের ওপর গণহত্যা চালানো হলেও আন্তর্জাতিক মহল আজ নীরব ভূমিকা পালন করছে। জাতিসংঘ কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো বাংলাদেশকে সীমান্ত খুলে দিতে বলছে। এটা ন্যক্কারজনক।’
মানববন্ধনের মূল উদ্যোক্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তোফায়েল আহমেদ রাহুল বলেন, শান্তির ফেরিওয়ালা নামে পরিচিত জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কোনো অমুসলিম সম্প্রদায় নির্যাতনের শিকার হলে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাদের নির্লিপ্ততা তাদের মুসলিমবিরোধী আচরণের বহিঃপ্রকাশ করছে। তিনি মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতি যাতে কোনো ক্ষোভ প্রকাশ না পায় সে দিকও তুলে ধরেন।
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীদের পক্ষে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোতাকাব্বির খান প্রবাস। দাবিগুলো হচ্ছেÑ গণহত্যা বন্ধে মিয়ানমার সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ করতে হবে, রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে, অং সান সুচির নোবেল প্রত্যাহার করে নিতে নোবেল কমিটির দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
মানববন্ধনটি সঞ্চালনা করেন রাকিব হায়দার ও সার্বিক সহযোগিতা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।