বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বার্তা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান
নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, আমরা ফেয়ার নির্বাচন করার চেষ্টা করবো এবং আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগের চেয়ে স্বচ্ছ হবে বলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে জানিয়েছি।
বুধবার (৮ জুন) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান
নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সিইসি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, প্রথমত বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ওনাদের কোনো বার্তা নেই। এটা ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ। তিনি আমাকে স্বাগত জানিয়েছেন নতুন সিইসি হিসেবে। সব ক্ষেত্রে আমার সাফল্য কামনা করেছেন। তিনি এবং তার সরকারের তরফ থেকে কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে করবেন বলে জানিয়েছেন, এটা একটা সৌজন্যতা।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আগামী নির্বাচন সম্পর্কে আসলে উনি তেমন কিছু আলোচনা করেন নাই। কেমন ফিল করি... আমি বলেছি, আমেরিকার মতো আমাদের নির্বাচন অতো স্মুথ নয়। একটু টার্বুলেন্স হয়। ওইদিক থেকে আমরা প্রস্তুত। আমরা আশাকরি সব সংস্থা (সরকারি) থেকে সহযোগিতা পাবো এবং নির্বাচন সফল হবে। নির্বাচন ফেয়ার করার চেষ্টা করবো। আগের চেয়ে অনেক স্বচ্ছ নির্বাচন হবে। সম্ভব হলে ভোটিং কেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা দেবো। এতে নজরদারি সহজ হবে। সরকারও আশা করি হেল্প করবে। আমাদের সীমাবদ্ধতার মধ্যে একটা ভালো নির্বাচন করার চেষ্ট করবো।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, কোনো চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হয়নি। উনি যেটা ফিল করছেন, দলগুলোর মধ্যে ধীরে ধীরে আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হবে। হয়তো দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা হবে, দলগুলো বুঝবে।
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি-না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে বলেছি, উনি চেয়েছেন যে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে ভালো হয়। আমরা বলেছি, দলগুলোর সঙ্গে বসবো। কীভাবে অংশগ্রহণমূলক হয়, তাদের সঙ্গে আলোচনা হলে হয়তো পথ বেরিয়ে আসবে।