পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিচার শেষ হলে দেশে সুশাসন নিশ্চিত হবে দাবি করে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ বলেছেন, বাংলাদেশে বড় সংকট হচ্ছে সুশাসনের। আজ মঙ্গলবার একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) বিল, ২০২২ উত্থাপনকালে আপত্তি জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
হারুনুর রশিদ তার বক্তব্যে বিলটি নিয়ে আপত্তি নেই বলে জানান। তিনি বিচারকদের আরও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো, আরও বিচারক নিয়োগের অনুরোধ করেন আইনমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, আমি কিছুদিন আগে দেখলাম এই সংসদের সংসদ সদস্য ১০ বছরের দণ্ডিত হাজী সেলিম চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আপনি (আইনমন্ত্রী) বলেছেন, উনি আইন মেনেই গিয়েছেন। অথচ সাবেক প্রধানমন্ত্রী কিন্তু বিদেশে চিকিৎসা নিতে আপনাদের কাছে বার বার আবেদন করে আসছেন। আপনারা বলছেন, কোন সুযোগ নেই। এটা হচ্ছে আইনের বৈষম্য।
বিরোধী দলের সারাদেশে কর্মসূচি পালনের অধিকার রয়েছে কি না জানতে চেয়ে হারুনুর রশীদ বলেন, আপনারা (আওয়ামী লীগ) কর্মসূচি পালন করছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায়। কিন্তু বিরোধী দলকে কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হচ্ছে না। এখানে আইনের প্রয়োগের ক্ষেত্রে বৈষম্য করা হচ্ছে কি না? সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ঢাবি ছাত্রী তন্বীকে ছাত্রলীগ নামধারী গুণ্ডাপাণ্ডারা নিপীড়ন ও নির্যাতন করেছেন, যা গণমাধ্যমে দেখানো হয়েছে। কিন্তু আইনি কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আইনের যথাযথ প্রয়োগ না করলে আইন করে কী হবে?
সরকারকে বিচারকদের সুযোগ সুবিধার জন্য আরও আইন পাস করার অনুরোধ করে হারুন বলেন, আমরা সমর্থন দেব। কিন্তু বিচারবিভাগকে শক্তিশালী করার জন্য ইনসাফ ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বিচারক নিয়োগ বাড়ান। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিচারকার্য শেষ হলে সুশাসন নিশ্চিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।