Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

একদিকে মানুষ পুড়ছে অন্যদিকে সরকার গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে : রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০২২, ১২:০৮ এএম

সরকার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আড়াল করতেই গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সীতাকুণ্ডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গোটা জাতি যখন শোকে কাতর সেই সময়ে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দেশের মানুষকে আরও শোকাচ্ছন্ন করা হয়েছে। একটা পাশবিক, সন্ত্রাসী মাফিয়া টাইপের সরকার ক্ষমতায় না থাকলে এমন ঘটনা ঘটতো না। মানুষ ঝলছে যাচ্ছে, মানুষ পুড়ছে আর সরকার গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে। সেই বিখ্যাত প্রবাদ রোম পুড়ছে আর বাঁশি বাজাচ্ছেন সম্রাট হিরো। প্রধানমন্ত্রী বাঁশি বাজাচ্ছেন আর গোটা জাতি পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছেন।
গতকাল সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহিলা দলের উদ্যোগে গ্যাস বিদ্যুৎ ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি কত বিবেকহীন এত বড় ট্রাজেডি, বিয়োগান্ত ঘটনা, গোটা জাতি যখন মূহ্যমান তখন এই হৃদয় বিদারক ঘটনা আড়াল করতে আপনি জাতিকে উপহার দিলেন গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করে। এই গ্যাস উৎপাদন পর্যায়ে দাম বাড়ার কারনে এখন বিদ্যুত, কৃষি উৎপাদন, শিল্প উৎপাদন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়বে সেটা ব্যক্তিগত পর্যায়ে দুর্বি সহ হয়ে উঠবে। প্রধানমন্ত্রী সোনার সিংহাসনে বসে আনন্দ লাভ করেন যখন দেখেন দেশের জনগণ কঠিন কষ্টের মধ্যে আছেন, দুর্বিসহ জীবন যাপন করছেন। দাম বাড়লে তার যায় আসে না তার দলের লোকজন দেশে বিদেশে তো অট্রালিকা বানাচ্ছে। মহিলা দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আপনাদেরকে আরও ইস্পাত কঠিন ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সরকারের সকল ব্যারিকেড ভাঙ্গতে হবে। এর আগে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হলে পুলিশ বাঁধা দেয়।পরে পুলিশের সাথে মহিলা দলের নেতাকর্মীদের ধাক্কাধাক্কি হয়। বিক্ষোভ মিছিলে মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদ, নায়েবা ইউসূফ, এ্যাড. রুনা লায়লা, রুমা আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘ভয়েস ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ভোটার রাইটস’র উদ্যোগে ‘নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের অপরিহার্যতা এবং নির্বাচনপরবর্তী জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা’-শীর্ষক আলোচনা সভায় রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কখনো অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। অতীতে সেটা একাধিকবার প্রমাণিত হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটা অপরিহার্য, এর কোনো বিকল্প নেই। কারণ, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন মানে বাঘের সামনে ছাগলকে ছেড়ে দেয়া।
সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে এবং মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজীর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন-বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কামরুজ্জামান রতন, কাদের গনি চৌধুরী, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, কাজী রফিক, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাহ আলম, জাসাসের ডা. আরিফুর রহমান মোল্লা, কৃষক দলের জাহাঙ্গীর আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের আরিফুর রহমান তুষার প্রমুখ।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার চিরদিনের জন্য রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকতে চায়। কিন্তু তারা জানে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে সেটা সম্ভব হবে না। তাই সংবিধান থেকে নির্বাচনকালীন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা মুছে দিয়েছে। অথচ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে তারা ১৭৩ দিন হরতাল করেছে, জ্বালাও-পোড়াও করেছে, অবরোধ করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ