পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিড়ির উপর বিদ্যমান শুল্ক কমানোসহ চার দফা দাবিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ঘেরাও করেছে বিড়ি শ্রমিকরা। আজ সোমবার সকাল ১০টায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর সামনে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের আয়োজনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে পালনকালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ঘেরাও করে শ্রমিকরা। এসময় বিড়িতে শুল্ক কমানো, বিড়ির উপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং দেশিয় শিল্প বিড়িকে রক্ষা করার দাবি জানান শ্রমিকরা। মানববন্ধন শেষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এর চেয়ারমানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের সভাপতি এম কে বাঙ্গালী। বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি লোকমান হাকিম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, যুগ্ম সম্পাদক লুৎফর রহমান, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, বিড়ি শিল্প দেশীয় শ্রমিকবান্ধব শিল্প। অথচ দেশের প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্প ধ্বংসের চক্রান্ত করা হচ্ছে। ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি (বিএটিবি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা বিড়ি শিল্প ধ্বংসের চক্রান্তে লিপ্ত। তারা বিড়ির উপর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। বিড়ি মালিকরা এই মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা সহ্য করতে না পেরে কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে বিড়ি কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিকরা কর্ম হারিয়ে পরিবার নিয়ে অনাহারে, অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। শ্রমিকদের কর্মরক্ষার্থে সরকারের কাছে আমরা বিড়ি উপর বিদ্যমান শুল্ক কমানোর জোর দাবি জানাচ্ছি।
বক্তারা আরো বলেন, বিড়ি শতভাগ দেশীয় প্রযুক্তি নির্ভর শিল্প। সমাজের অসহায়, হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা, নদী ভাঙন কবলিত জনগণ, শারীরিক বিকলাঙ্গসহ লক্ষ লক্ষ সুবিধা বঞ্চিত শ্রমিক ও পরিবারের রুটি-রুজির একমাত্র অবলম্বন এই বিড়ি শিল্প। অন্যদিকে সিগারেটের সবকিছু বিদেশ থেকে আমদাদিকৃত ও প্রযুক্তি নির্ভর। বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানি এদেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। বিড়ি শিল্প ধ্বংসের চক্রান্ত বন্ধ করা না হলে আমরা শ্রমিকদের নিয়ে সকল চক্রান্ত প্রতিহত করবো। একইসাথে দেশের স্বার্থে, দেশের শ্রমজীবি মানুষের স্বার্থে দেশীয় শ্রমিকবান্ধব বিড়ি শিল্পকে রক্ষার জোর দাবি জানান শ্রমিকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।