পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, এখন পর্যন্ত সরকার প্রায় ৩০ কোটি ৫০ লাখ করোনা টিকা সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে ১৮ কোটি টিকা নগদ টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে। বাকীগুলো কোভেক্সের আওতায় বিনামূল্যে পেয়েছি। তবে দামগুলো এখন মনে নেই। এ বিষয়ে আমাকে নোটিশ দিলে এর দাম এবং কোথা থেকে এসেছে সেটা বলতে পারবো। গতকাল জাতীয় সংসদ অধিবেশনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদে এ তথ্য জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে মুজিবুল হক চুন্নু তাঁর প্রশ্নে করোনা টিকা কতজনকে দেওয়া হয়েছে, কতগুলো টিকা কেনা হয়েছে এবং উপহার পাওয়া গেছে এবং প্রতিটি টিকা কেনার পেছনে সরকারের ব্যয় কত হয়েছে। জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী চুন্নুর কাছে লিখিত প্রশ্ন চেয়ে বলেন, এই পর্যন্ত সাড়ে ত্রিশ কোটি করোনা টিকা সরকার সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে ২৬ কোটি টিকা দেওয়া হয়েছে। এক ডোজ করে টিকা দেওয়া হয়েছে ১৩ কোটি মানুষকে, দুই ডোজ করে দেওয়া হয়েছে পৌনে ১২ কোটি এবং দেড় কোটি মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। সেটা এখন চলছে।
অবৈধ হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোয় সরকারকে ধন্যবাদ জানান বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশিদ। তিনি বলেন, এখনো জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অনেক আওয়ামী লীগ নেতা পরিচালিত হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দেশের চিকিৎসা মতো জনবল খালি রয়েছে, সেটা কবে নাগাদ পূরণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
জবাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, যারা ভালো সেবা দেবে না, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমরা দলীয় বিচারে ব্যবস্থা নিইনি। আপনারা (বিএনপি) নেন, কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে মানুষকে সেবা বঞ্চিত করেছেন। কিন্তু আমরা দলীয় বিচারে কোন হাসাপাতাল, ক্লিনিক বন্ধ করি নাই। যাদের লাইসেন্স নবায়ন নেই, ডাক্তার ও নার্স নেই সেগুলো বন্ধ করা হয়েছে। এগুলো ঠিক করলে আবারও চালু করে দেব।
এদিকে গতকাল রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনস আয়োজিত ১১তম আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যদিও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। বিশ্বজুড়েই মন্দা বিরাজ করছে। তারপরও আশা করছি এই বছর আমরা বেশি বরাদ্দ পাব।
জাহিদ মালেক বলেন, দেশে নিউরোসার্জারি পরিস্থিতি ভালো। আমাদের অবকাঠামো ও আধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে। তবে আমাদের লোকবল, বিশেষজ্ঞ ঘাটতি আছে। দেশে ২১০ জন নিউরোসার্জন আছেন, আমাদের প্রয়োজন আরও অনেক বেশি। রোগীদের যেন বিদেশে যেতে না হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। এই পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তাব দিয়েছি, যা বিবেচনাধীন আছে।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনসের সভাপতি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনÑ বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের স্বাচিপ মহাসচিব প্রফেসর ডা. এমএ আজিজ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।