পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আসন্ন কোরবানির ঈদকে ঘিরে কোরবানির পশুবাহী যানবাহনসহ অন্যান্য পরিবহনে চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঠেকাতে মহাসড়কে কঠোর নজরদারি শুরু করেছে র্যাব। মহাসড়কে ডাকাতি করার জন্য একটি চক্রের সদস্যরা অন্ধকার রাস্তায় ওঁৎ পেতে থাকতো। পূর্ব পরিকল্পিত নির্ধারিত স্থানের নিকটবর্তী স্টেশনে টার্গেট বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস সম্পর্কে সংকেত দিতো ডাকাত দলের সদস্যরা। সংকেত পাওয়া মাত্রই চক্রের অন্য সদস্যরা দ্রুত গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে রাখতো। যেখানে গাছ কাটার সুযোগ থাকতো না সেখানে তারা চালকের চোখে লেজার লাইটের তীব্র আলো ফেলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডাকাতি করতো। এমন অভিযোগে শুক্রবার দিবাগত রাতে সাভারের বালিয়ারপুর মহাসড়কে ডাকাতি প্রস্তুতিকালীন দুর্ধর্ষ আন্তঃজেলা ডাকাত চক্র ‘ঠান্ডা শামীম বাহিনী’র সর্দারসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে দেশি ও বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গতকাল শনিবার কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
র্যাব জানায়, গ্রেফতাররা হলো-‘ঠান্ডা শামীম বাহিনী’র মূল হোতা মো. শামিম ওরফে সব্দুল (৩০), মো. আনিসুর রহমান ওরফে ঠান্ডা (৪৫), মো. সালাউদ্দিন (২৩), মো. ইখতিয়ার উদ্দিন (৩১), মো. সাইফুল ইসলাম (৩৫), মো. জাহাঙ্গীর সরকার (৪০), মো. সজিব ইসলাম (২৫), মো. জীবন সরকার (৩৪), শ্রী স্বপন চন্দ্র রায় (২১), মো. মিনহাজুর ইসলাম (২০) ও শ্রী মাধব চন্দ্র সরকার (২৬)। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি পাইপগান, দুটি ওয়ান শুটারগান, ছয় রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন, একটি চাপাতি, দুটি রামদা, একটি চাইনিজ কুড়াল, দুটি টর্চ লাইট, দুটি হ্যাক্সো ব্লেড, একটি দা, দুটি লেজার লাইট দুটি ও একটি হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ঠান্ডা শামীম বাহিনীর মূল হোতা শামীম ওরফে সব্দুল ও তাদের সেকেন্ড ইন কমান্ড আনিসুর ওরফে ঠান্ডা। তাদের নাম অনুসারে এ বাহিনীর নাম রাখা হয় ঠান্ডা শামীম। এ বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি ও সড়কে ডাকাতি, গাছ কেটে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যাত্রীবাহী বাস, গরুবাহী ট্রাক, মালবাহী ট্রাক ও বিভিন্ন মালামালের গুদামে ডাকাতি করে আসছে। এছাড়াও এ চক্রের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গতিবিধির ওপর নজরদারি করে মূল ডাকাত দলের কাছে তথ্য সরবরাহ করতো। এসব ডাকাতির ঘটনায় শামীম ও আনিসুর ওরফে ঠান্ডা একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। জেল হাজতে থাকার সময় তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন অপরাধীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে। পরবর্তীসময়ে জামিনে বের হয়ে তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে ডাকাত বাহিনী গড়ে তোলে। তাদের বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ২৫ জন। এছাড়াও তারা যে এলাকায় ডাকাতি করার পরিকল্পনা করে ওই এলাকার স্থানীয় অপরাধী, মাদক কারবারি, পরিবহন শ্রমিক ও নৈশ প্রহরীদের
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।