Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে সুইডেনের সক্রিয় ভূমিকা চাইলেন ড. মোমেন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০২২, ১২:০৪ এএম

জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও সুইডেন এক সঙ্গে কাজ করবে। এই লক্ষ্যে দুই দেশ আরও সহযোগিতা জোরদারে সম্মত হয়েছে। সুইডেনের স্টকহোমে সুইডিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান লিন্ডের সঙ্গে এক বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।
‘স্টকহোম+৫০’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক পরিবেশ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. মোমেন। সে সময় দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সিভিএফ চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূমিকার প্রশংসা করেন সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সবেমাত্র ঘানার কাছে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) প্রেসিডেন্সি হস্তান্তর করেছি যা ৫৫টি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের জোট। আমরা সিভিএফ-ট্রয়কার অংশ হিসাবে দুর্বল দেশগুলির স্বার্থের প্রচার চালিয়ে যাবো।
আলোচনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোমেন সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে উপকূলীয় এলাকার বাস্তুচ্যুত মানুষের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকলে এটি একটি নিরাপত্তা সমস্যা হতে পারে। জলবায়ু সংকটের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়াতে তিনি সুইডিশের সহায়তা কামনা করেন।
মন্ত্রী মোমেন সুইডেনকে জলবায়ু অভিযোজন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, উদ্ভাবন, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং সবুজ বৃদ্ধিতে আরও সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার আমন্ত্রণ জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিসিএফ, অভিযোজন তহবিল (এএফ) এবং স্বল্পোনড়বত দেশগুলোর তহবিলের (এলডিসিএফ) মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে জলবায়ু সহযোগিতা বাড়াতে ও বৈচিত্র্য আনতে সুইডেনকে অনুরোধ করেন। তিনি জলবায়ু ক্ষতির জন্য অতিরিক্ত অর্থায়ন ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। দুই মন্ত্রী প্যারিস চুক্তির কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য বৈশ্বিক সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। সে লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হন।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জোরদারের জন্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগের গুরুত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী ড. মোমেন সুইডেনকে ঐতিহ্যবাহী পণ্যের বাইরে রপ্তানিকে আরও বৈচিত্র্যময় ও বাংলাদেশ সরকার যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছে সেখানে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ