পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দক্ষিণাঞ্চলের অস্বস্তিকর ডায়রিয়া পরিস্থিতি এখনো জনজীবনে যথেষ্ঠ উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। গত ৪ মাসে দক্ষিণাঞ্চলের ৪২ উপজেলায় ৪০ হাজারেরও বেশি ডায়রিয়া রোগী বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছেন। এরমধ্যে গত এক মাসের সংখ্যাটাই প্রায় সাড়ে ১১ হাজার। এখনো বরিশাল জেনারেল হাসপাতাল ও শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে ডায়রিয়া রোগীর ঠাঁই হচ্ছেনা। দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোই ডায়রিয়া রোগীতে ঠাসা। গত এক সপ্তাহেই এসব হসপাতালে প্রায় আড়াই হাজার রোগীর চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
তবে এর বাইরে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসহ চিকিৎসকদের চেম্বার থেকেও ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ঘরে বসে বিপুল সংখ্যক ডায়রিয়া আক্রান্ত মানুষ চিকিৎসা নিয়েছেন। ওয়াকিবাহল মহলের মতে, সরকারি হাসপাতালে ৪০ হাজার মানুষ চিকিৎসা নিলেও বেসরকারি পর্যায়ে অন্তত ৩ গুন ডায়রিয়া আক্রান্ত চিকিৎসা নিয়েছেন। যে পরিসংখ্যান স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে নেই।
তবে একাধিক সূত্রের মতে, দক্ষিণাঞ্চলে গত ৪ মাসে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ইতোমধ্যে দু’লাখ অতিক্রম করেছে। কিন্তু স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল মহল থেকে এ ব্যপারে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
গতবছরও মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় ৭০ হাজার ডায়রিয়া আক্রান্তকে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এবছরও মার্চের মধ্যভাগ থেকে দক্ষিণাঞ্চলে ডায়রিয়া পরিস্থিতি জটিল হতে শুরু করে। গত ৩১ মে পর্যন্ত এ অঞ্চলে যে ৪০ হাজার ২৯৭ জনের আক্রান্তের কথা বলেছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতর, তার অন্তত ৩৭ হাজারই আক্রান্ত হয়েছে মধ্য মার্চের পরে।
এবারও গত বছরের মতই সর্বাধিক আক্রান্তের সংখ্যাটা বরিশালেই। ৩১ মে সন্ধা পর্যন্ত জেলায় আক্রান্ত প্রায় ১০ হাজারের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশই বরিশাল মহানগরীতে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত দ্বীপ জেলা ভোলাতেও ইতোমধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ছুতে চলেছে। এপ্রিলের শেষ থেকে পিরোজপুরেও ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এসময়ে জেলাটিতে প্রতিদিন গড়ে দেড় শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত মানুষ সরকারি হাসপাতালগুলোতে এসেছে। জেলাটিতে ইতোমধ্যে সাড়ে ৭ হাজারেরও বেশি ডায়রিয়া আক্রান্ত মানুষ জেলা উপজেলা সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিয়েছেন। পটুয়াখালীতেও ইতোমধ্যে ৬ হাজার ৭৩ জন ডায়রিয়া রোগী বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
তবে স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্রের মতে গত সপ্তাহখানেক ধরে দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি হওয়ায় ডায়রিয়া পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। বর্ষা মৌসুম আসন্ন হওয়ায় বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতর পরিস্থিতির উন্নতি আশা করছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার ৪২ উপজেলায় ডায়রিয়া চিকিৎসায় ৪১৩টি মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানান হয়েছে। তবে এসব টিমে সার্বক্ষণিক কোনো চিকিৎসক নেই। দু-তিনটি টিমের দায়িত্বে একজন চিকিৎসক রয়েছেন। ডিপ্লোমাধারী চিকিৎসা কর্মীগণ প্রয়োজনে মেডিকেল টিমের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসককে খবর দিলে তারা এসে সকটাপন্ন রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন।
এদিকে গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় ১ হাজার সিসির প্রায় ৬৫ হাজার ব্যাগ এবং ৫০০ সিসি’র ৩৭ হাজার ব্যাগ স্যালাইন মজুদ থাকলেও তা ইতোপূর্বের যেকোন সময়ের তুলনায় কম বলে জানা গেছে। তবে বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য জানিয়েছেন, বর্তমানে ডায়রিয়া আক্রান্তের তুলনায় পর্যাপ্ত স্যালইন মজুদ রয়েছে। উপরন্তু আরো স্যালাইন পাইপ লাইনে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।