পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় বার বার শীর্ষে উঠে আসছে ঢাকা। দূষিত বাতাসে নিশ্বাস নেওয়ার ফলে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে রাজধানীবাসী। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।
বিশ্বব্যাপি মৃত্যু এবং অক্ষমতার জন্য শীর্ষ ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে বায়ু দূষণ স্থান করে নিয়েছে। দূষিত বায়ু শ্বাস নেওয়া দীর্ঘকাল ধরে একজন ব্যক্তির হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ এবং ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে বলে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে। এ অবস্থায় ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ে পরিবেশবাদীরা খুবই উদ্বিগ্ন। তারা বলছেন, রাজধানীর বায়ুদূষণ ক্রমাগতই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নগরবাসীর স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের নেতা ড. আব্দুস সুবাহান গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল ইটভাটা, কলকারখানার ও যানবাহনের ধোঁয়া এবং নির্মাণ সাইটের ধুলো। বায়ুদূষণের এই উৎসগুলো বন্ধ করতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতেরও নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু আদালতের সে নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। নির্মাণ সাইর্টের নির্মাণ সামগ্রী উন্মুক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হচ্ছে, অবৈধ ইটভাটা চলছে, কলকারখানা থেকে দূষিত কাল ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে, মেয়াদ উত্তীর্ণ গাড়ি রাস্তায় চলছে। তাদের কাল ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে বাতাস। অথচ এসব বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও তা কর্যকর হচ্ছে না।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) ১৬২ স্কোর নিয়ে গত ৩০ মে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ বায়ুর শহরের তালিকায় ঢাকা আবারও জায়গা করে নেয়। এর আগে ২০২০ ও ২০২১ সালেও কয়েকবার ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করে। অনেক বার রাজধানীবাসী অস্বাস্থ্যকর বাতাসে বসবাস করেছে।
বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) সম্প্রতি এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানায়, ঢাকা শহরের ১০টি স্থানে বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ হয় শাহবাগ এলাকায়। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত এক বছরে আহসান মঞ্জিল, আব্দুল্লাহপুর, মতিঝিল, শাহবাগ, ধানমন্ডি-৩২, সংসদভবন এলাকা, তেজগাঁও, আগারগাঁও, মিরপুর-১০ ও গুলশান-২-এর বায়ু ও শব্দমানের তথ্য-উপাত্ত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে তারা এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।