পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের যে সব নেতাকর্মী মাঠে আস্ফলন দেখাচ্ছে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে, বিএনপিসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে, তারা হয়তো জানে না তাদের নেত্রী কখন পদত্যাগ করবেন। গতকাল বুধবার দলের প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে নিজ নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-৩ আসনের গরীব দুঃস্থ মানুষের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানে দলের থানা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও অংশ নেন অ্যাডভোকেট সেলিম চৌধুরী, মোজাদ্দেদ আলী বাবু সহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
অনুষ্ঠানে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের আগ পর্যন্ত পাকিস্তানি সৈন্যরা জানত না পাকিস্তানকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এরশাদের লোকজনও জানত না তাদের নেতাকে পদত্যাগ করতে হচ্ছে। এখন আওয়ামী লীগের যে সব নেতাকর্মী বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে, নির্যাতন করছে তারাও জানে না তাদের নেত্রী শেখ হাসিনা কখন পদত্যাগ করবেন। উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, দেশে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং কর্মজীবী মানুষের অভাব অনটন রয়েছে। প্রতিটি জিনিসের দাম এতো বেশি, তা সীমিত আয়ের মানুষের পক্ষে কেনা সম্ভব নয়।
এই অবস্থায় আমরা দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের সীমিত আয়ের মানুষকে সাহায্য দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু গত ২৯ মে রাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সেখানে হামলা করে, আবার ষড়যন্ত্র করে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের বলব, এই সরকারের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আমাদের কর্ম করতে হবে। সাহস নিয়ে রাজপথের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে হবে। বিজয় আমাদের কাছাকাছি।
গয়েশ্বর বলেন, এই সরকার একটি ফ্যাসিবাদী সরকার। বাতি নীভে যাওয়ার আগে যেমন ধপ করে জ্বলে উঠে,এই সরকারের অবস্থাও তাই। একারণেই বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর একেরপর এক হামলা করছে। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনদের বলব, ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ নেই। আপনারা সারাদেশে যে নির্যাতন করে চলেছেন, এর জবাব আমরা দেব। তবে, আওয়ামী লীগের মতো করে নয়; রাজনৈতিকভাবে দেব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।