পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাখাইনের আকাশে দিনে হেলিকপ্টার আর ধোঁয়ার কু-লি, নির্যাতিত মুসলমানদের আর্তনাদÑ হে আল্লাহ তুমি রক্ষা কর। টেকনাফে মিয়ানমার সীমান্তে নাফ নদী। নদীর পাড় থেকেই দেখা যায় দিনের বেলা ধোঁয়া উঠছে। এতে বোঝা যায় সেখানে বাড়িঘরে আগুন দেয়া হচ্ছে। আর মাঝে মাঝে হেলিকপ্টার উড়তে দেখা যাচ্ছে। সীমান্ত সংলগ্ন নদীপাড়ের গ্রাম উলুবনিয়ার বাসিন্দা ও মাছ ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ শিকদার এসব কথা বলেন। তার বাড়ি থেকে সীমান্তের ওপারে পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত দেখা যায়। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির নিরাপত্তাবাহিনী ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে এবং রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে। খবরে বলা হয়, মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন অভিযানে পালিয়ে প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে রোহিঙ্গারা। বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষীদের টহল ও কড়া প্রহরা সত্ত্বেও গোপনে রোহিঙ্গাদের প্রবেশ চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে সীমান্তে রোহিঙ্গাদের পুশব্যাকও অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। খবরে আরো বলা হয়, কিছু লোক বিজিবিকে ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করছে। বিজিবি রয়েছে কঠোর প্রহরায়। তারপরও রাতের অন্ধকারে ফাঁক ফোকর দিয়ে কিছু লোক কিন্তু ঢুকে যাচ্ছে। ব্যবসায়ের কারণে যারা মিয়ানমার বাংলাদেশে আসছেন, তাদের কাছে থেকে জানতে পারছেন কিছু বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে মিয়ানমারে, কিছু লোককে টার্গেট করে গুলি করে মারা হয়েছে। মেয়েদের ধর্ষণের খবর তারা পেয়েছেন। এদিকে এসব ঘটনায় বাংলাদেশের সীমান্ত খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। প্রসঙ্গত, কয়েক শ’ বছরের পিতৃভূমিতেই রোহিঙ্গাদের বলা হচ্ছে অবৈধ অভিবাসী। নিজেদের দেশে তারা বর্তমানে প্রবাসী। এদের রোহিঙ্গা বলতেও নারাজ মিয়ানমার সরকার এবং মিয়ানমারের বৌদ্ধরা। তারা এদের ডাকে বাঙালি বলে। মিয়ানমার মুসলিমদের গণহত্যা চলে আসছে দীর্ঘ দিন। প্রায়ই রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রতি কখনো সরকার, কখনো স্থানীয় উগ্র সাম্প্রদায়িক বৌদ্ধরা আবার কখনো উভয়পক্ষ মুসলিম নিধনযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মুসলিম এর ঘড় বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়। নির্মম ভাবে হত্যা করা হয় কয়েক হাজার মানুষকে। যেই হত্যাযজ্ঞ এখনো চলমান। বৌদ্ধ অহিংস ধর্ম এবং জীব হত্যা মহাপাপ হলে এই হত্যাযজ্ঞ কেন? এমনটাই প্রশ্ন উঠেছে এখন। সম্প্রতি মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর ব্যপক হত্যাযজ্ঞের পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়। যদিও মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম নিধনে বৌদ্ধদের হামলা নতুন নয়। সম্প্রতি এ পরিস্থিতির জন্য উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান। বিবিসি বাংলা ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।