পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
আসন্ন বাজেটে রফতানি খাতের উৎসে কর দ্বিগুণ হচ্ছে। বর্তমানে রফতানিকারকদের দশমিক ৫০ শতাংশ হারে উৎসে কর দিতে হয়, এ সুবিধার মেয়াদ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে। আগামী বাজেটে রফতানির উৎসে কর বাড়িয়ে ১ শতাংশ করা হচ্ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, ডলারের দাম বাড়ায় রফতানিকারকরা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় আছে। তাছাড়া বিশ্ববাজারে রফতানি পণ্যের দামও বেড়েছে। এ অবস্থায় উৎসে কর বাড়ানো হলে, তা রফতানি আয়ের ওপর প্রভাব পড়বে না।
এছাড়া প্রায় সব রফতানিকারকই উৎসে কাটা করের হিসাব অনুসারে আয় দেখিয়ে থাকেন। ফলে বাড়তি আয় হলেও তারা আর কর দেন না। তাই উৎসে কর ১ শতাংশ নির্ধারণ যৌক্তিক। তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম বলেন, উৎসে কর দ্বিগুণ রফতানিকারকদের জন্য দুঃসংবাদ। বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এরমধ্যেই কর হার দ্বিগুণ করা হলে, তা ভয়াবহ পরিস্থিতির তৈরি করতে পারে।
২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো রফতানিকারকদের ওপর উৎসে করারোপ করে সরকার। শুরুতে এ কর হার ছিল শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ। পরে বিভিন্ন সময়ে তা বাড়তে শুরু করে। এরমধ্যে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১ শতাংশ করও ছিল। এদিকে, আসন্ন বাজেটে স্থিতিশীল করনীতির অংশ হিসেবে বিদ্যমান কর হার আগামী পাঁচ বছরের জন্য স্থির রাখার দাবি জানিয়েছে বিজিএমইএ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।