Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্প্রচার কমিশনের যাত্রা আগামী জুনের মধ্যে তথ্যমন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ নভেম্বর, ২০১৬, ১১:০৯ পিএম

আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে ‘সম্প্রচার কমিশন’ যাত্রা শুরু করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। গতকাল রোববার  সচিবালয়ে টেলিভিশন মালিক, কলাকুশলী ও বিজ্ঞাপনদাতাদের একটি সংগঠনের নেতারা তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এলে তিনি এ কথা জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, টেলিভিশন মিডিয়াগুলো নিজস্ব আইনে পরিচালনার জন্য সম্প্রচার আইনের খসড়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আগামী শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে পাঠাতে পারব। তার আগে ডিসেম্বরে মন্ত্রীপরিষদে দিতে পারব। সংসদ অনুমোদন দিলে ২০১৭ সালের মধ্যে সম্প্রচার কমিশন যাত্রা শুরু করতে পারবে।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু আরো বলেন, বিদেশি চ্যানেল ডাউনলিঙ্ক ও বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচারের বিষয়ে আইনে যা আছে, তা কার্যকর করা হবে। তিনি বলেন, বিদেশি চ্যানেল ডাউনলিঙ্ক ও বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের ব্যাপারে আইনে যা যা আছে, তা সবই কার্যকর করা হবে। কিন্তু আমি এটুকু বলি, এ ব্যাপারে কোথায় কোথায় আইনের বরখেলাপ হচ্ছে, সেটা আমরা পরীক্ষা করব। পরীক্ষা শেষে আমরা প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবো।
মন্ত্রী বলেন, যে কোনো অবৈধ চ্যানেল সম্প্রচার করা আইনত নিষিদ্ধ। এটার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারি এবং সাজা হবে। কয়েকদিন আগে কিছু অবৈধ চ্যানেল বন্ধ করা হয়েছে। অনুমোদনপ্রাপ্ত চ্যানেলেও কিছু প্রোগ্রামে এদিক-ওদিক হচ্ছে। বিষয়টা আজকে আমাদের নজরে এসেছে। কোন কোন টিভি চ্যানেল সম্প্রচারের কোন জায়গাগুলো ভঙ্গ করছে তা জানানোর আহ্বান জানান হাসানুল হক ইনু।
বিজ্ঞাপনের জন্য পাঠানো অর্থ কিভাবে, কোন দেশে পাঠানো হচ্ছে তা বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে উল্লেখ্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রচার জগতে বিদেশি চ্যানেল ডাউনলিঙ্ক এবং বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের ব্যাপারে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মিডিয়া ইউনিটির আহ্বায়ক ও একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক বাবু বলেন, ভারতীয় চ্যালেনের নামে কিছু অনুমোদনহীন চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিঙ্ক হচ্ছে, ভারতীয় চ্যানেল হলেও এগুলো ভারতেও প্রদর্শিত হয় না। বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন খাতের টাকা গ্রাস করাই এর উদ্দেশ্য।
মিডিয়া ইউনিটির পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, বর্তমানে স্থানীয় চ্যানেলে বিজ্ঞাপনের বাজার সঙ্কুচিত হচ্ছে এবং এ বাজার বিদেশি চ্যানেলের হাতে চলে গেছে। বিগত কয়েক বছরে এসব চ্যানেল বাংলাদেশের কিছু কোম্পানির কাছে পাওনা বাবদ বকেয়া তৈরি করে প্রভাব খাটিয়ে সেই টাকা নিয়ে যেতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি বের করে। গত এক বছরে এই অনুমতিপত্রের মাধ্যমে দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মিডিয়া ইউনিটির উপদেষ্টা ব্যবসায়ী নেতা সালমান এফ রহমান, মিডিয়া ইউনিটির আহ্বায়ক ও একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক বাবু, সদস্য সচিব আরিফ হাসান প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ