পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিহত ও আহত সাঁওতালদের ক্ষতি পূরন দিতে হবে -আ স ম রব
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত সাঁওতালদের খোঁজখবর নিতে সাঁওতাল পল্লী পরিদর্শন করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম।
গতকাল রোববার দুপুরে তিনি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার সংলগ্ন মাদারপুর ও জয়পুরপাড়ার সাঁওতাল পল্লীতে আসেন। এ সময় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম ক্ষতিগ্রস্থ সাঁওতালদের খোঁজ খবর নেন। সাঁওতাল পল্লী পরিদর্শনের সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘নাসিরনগরের ঘটনার চেয়েও জঘন্যতম ঘটনা ঘটেছে এ সাঁওতাল পল্লীতে। আওয়ামী লীগের মধ্যেই একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্য। প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞ মানুষ তিনি সবই বুঝেন তাকে সজাগ হতে হবে। তাছাড়া এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না করলে আওয়ামী লীগকে পরে পস্তাতে হবে। তিনি আরো বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ সাঁওতালদের তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি ফিরিয়ে দিয়ে সেখানেই তাদের পুর্নবাসন করতে হবে।
অপরদিকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি’র সভাপতি সাবেক মন্ত্রী আ স ম আব্দুর রব বলেছেন- নিহত ও আহত সাঁওতালদের ক্ষতিপুরন দিতে হবে, তাদের পুর্নবাসন করতে হবে। সাঁওতাল হত্যার বিচার করতে হবে। দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। সেই সাথে পুলিশ ও সন্ত্রাসীবাহিনী আর যাতে সাঁওতালদের কোন ক্ষতি করতে না পারে সে ব্যবস্থা সরকারকে নিতে হবে। বিকালে সাঁওতাল পল্লীর গির্জার সামনে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সভাপতি আয়ুব হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশের বক্তব্যে রব উপরোক্ত কথা বলেন বলেন।
এসময় অন্যান্যের মধো বক্তব্য রাখেন, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক এমপি এম এ গোফরান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া জেলা সভাপতি আশিষ সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর জেলা সভাপতি আমিন উদ্দিন, গাইবান্ধা জেলা সভাপতি লাসেন খাঁন রেন্টু, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সভাপতি আয়ুব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী আরজ কৃষক শ্রমিকজনতা লীগের সোলাইমান খান, হাসমত আলী, বাবুল সিদ্দিকী প্রমুখ।
হামলার ঘটনায় আরও ২ জন গ্রেফতার
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের উপর হামলা, হত্যা, ঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় সাঁওতালদের পক্ষে দায়ের করা মামলায় গত শনিবার রাতে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এই মামলায় ১২জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান সাঁওতালদের দায়ের করা মামলায় শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে নাসিরাবাদ গ্রাম থেকে ছায়ফুল ইসলামের ছেলে জনি মিয়া (৩২) ও একই গ্রামের নাসিমের ছেলে রনি (২৮) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সাথে গ্রেফতার অভিযান চলছে বলে তিনি জানান।
গত ৬ নবেম্বর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁতালদের সংঘর্ষ হয়। এতে ৩ জন সাঁওতাল নিহত এবং পুলিশসহ ৩০ জন আহত হয়। ঘটনার ১১ দিন পর সাঁওতালদের পক্ষে উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামের স্বপন মুরমু বাদি হয়ে প্রায় ৬০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।