পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইউটিউবে কানাডা ও আফ্রিকার মাদক ব্যবসায়ীদের করা ভিডিও দেখে গাঁজার নির্যাস দিয়ে মিল্কশেক, কেক ও চকলেট বানানো শেখেন জুবায়ের হোসেন। ভিডিও দেখে উত্তরায় নিজের ভাড়া বাসায় আরও দুই সহযোগীকে নিয়ে গাঁজার নির্যাস থেকে এসব মাদকদ্রব্য তৈরি করতেন তিনি। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ক্রেতাদের কাছ থেকে গাঁজার নির্যাস দিয়ে তৈরি মিল্কশেক, কেক ও চকলেটে বিক্রির অর্ডার নিতেন জুবায়ের। অর্ডার পাওয়ার পর এসব মাদকদ্রব্য নিজেই গ্রাহকদের কাছে হোম ডেলিভারি দিতেন তিনি। এমনই একটি হোম ডেলিভারি দিতে গিয়ে গুলশান থানা পুলিশের কাছে গত রোববার গ্রেফতার হয় জুবায়ের। পরে জুবায়েরের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার উত্তরার বাসা থেকে আরও দুই সহযোগী অনুভব খান রিবু (২৩) ও নাফিসা নাজাকে (২২) গ্রেফতার করে পুলিশ। গতকাল সোমবার গুলশান থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য জানান ডিসি মো. আসাদুজ্জামান।
পুলিশ জানায়, এ সময় বাসা থেকে গাঁজার নির্যাস দিয়ে তৈরি ৫টি চকলেটের বার যার প্রতিটির ওজন ১ কেজি করে, ২টি মিল্কশেকের বোতল যার প্রতিটির ওজন ৫০০ গ্রাম করে, ফুয়েল পেপারে মোড়ানো গাঁজার তৈরি ছোট ছোট ৫০টি চকলেট, গাঁজা দিয়ে তৈরি ২টি চ্যাপ্টা চকলেটের বার, গাঁজা দিয়ে তৈরি দুই পিস কেক, ৪টি চকলেট তৈরির ডায়েস, ৪টি স্টিকার রোল, ৪টি অ্যাঙ্কর জেলটিন, ৭টি বানানো ফ্লেবার জুস, ৭টি খালি প্লাস্টিকের জুস পট, ১০৭টি প্লাস্টিকের গ্লাস, ১ কেজি গাঁজা, ১টি এইচপি ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ, দুইটি আইফোন জব্দ করা হয়েছে।
জুবায়ের পুলিশকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, পাঁচ কেজি গাঁজার নির্যাস দিয়ে ১ কেজি ওজনের গাঁজার চকলেট তৈরি হত। একই প্রক্রিয়ায় তিনি গাঁজার কেক ও মিল্কশেক তৈরি করতেন।
ডিসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, রোববার গুলশান থানা পুলিশের কাছে গোপন সংবাদ আসে একজন ব্যবসায়ী মাদক ডেলিভারি দেয়ার জন্য গুলশানের ৬ নম্বর রোডের ১০ নম্বর বাসায় যাচ্ছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশের একটি টিম গুলশান এলাকা থেকে মাদক ব্যবসায়ী জুবায়ের হোসেনকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জুবায়ের জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকের হোম ডেলিভারি দিতেন তিনি। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উত্তরার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ দুই সহযোগীকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, জুবায়ের রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ১২ নম্বর সেক্টরের ১৪ নম্বর রোডের একটি ৬ তলা ভবনের বি-৫ ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন। ইউটিউবে কানাডিয়ান/আফ্রিকান মাদক ব্যবসায়ীদের তৈরি বিভিন্ন ভিডিও দেখে দেশীয় পদ্ধতিতে গাঁজা দিয়ে কেক, চকলেট, মিল্কশেক তৈরি করা শেখেন। পরে তার সহযোগীদের নিয়ে উত্তরার বাসায় এসব পণ্য বানাতেন তিনি। পরে অনলাইনে অর্ডার নিয়ে এসব মাদকদ্রব্য তিনি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হোম ডেলিভারি দিতেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।