Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় শিক্ষা মূল্যায়ন আইন ফেরত, ওমানের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি,

মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের অধীনে হচ্ছে বঙ্গবন্ধু ভাষা গবেষণা ট্রাস্ট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ মে, ২০২২, ১২:০০ এএম

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা গবেষণা ট্রাস্ট গঠনের বিধান রেখে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০২২ খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। জাতীয় শিক্ষা মূল্যায়ন কেন্দ্র আইন, ২০২২’ এর খসড়া উপস্থাপন করা হলেও তা ফেরত পাঠানো হয়েছে। এ আইনের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে মন্ত্রিসভা।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১০ এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট করা হয়েছে। এটার অধীনে ভাষা গবেষণার ট্রাস্ট স্থাপন করা হবে। এই গবেষণার ট্রাস্টের নাম দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা গবেষণার ট্রাস্ট।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটার একটা স্থায়ী তহবিল থাকবে। এদের কাজ হবে ভাষা গবেষণা ও ভাষা শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্যে বৃত্তি, ফেলোশিপ, অনুদান, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি প্রদান। দেশ-বিদেশের বিপন্নপ্রায় ভাষা সংরক্ষণ, সংগ্রহ, উন্নয়ন ও প্রমিতায়নের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান। বিভিন্ন ভাষা অনুবাদ কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান। এজন্য একটি ট্রাস্টের প্রস্তাব করা হয়েছে। সংশোধিত আইন অনুযায়ী একটি ট্রাস্ট গঠন করে স্থায়ী তহবিলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, যাতে সরকারি বেতন-ভাতার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি একটি স্থায়ী ফান্ডের মাধ্যমে সবসময় পরিচালিত হতে পারে। বিধির মাধ্যমে ট্রাস্টের তহবিল পরিচালিত হবে ।
জাতীয় শিক্ষা মূল্যায়ন আইন ফেরত
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভা থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে জাতীয় শিক্ষা মূল্যায়ন আইনের খসড়া। এটা ছিল পরীক্ষার সিস্টেমগুলোর মধ্যে একটা সিমিলারটিতে নিয়ে আসার জন্য। আমাদের বিভিন্ন রকমের শিক্ষা পদ্ধতি আছে। এগুলোর যেন এসেসম্যান্ট পদ্ধতি খুবই স্বচ্ছ থাকে, সিমিলারটি থাকে, যাতে পরবর্তীতে উচ্চ শিক্ষায় কোনো অসুবিধা না হয়, সে জন্য এ আইনটি আনার প্রস্তাব করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে উনারা এ আইন নিয়ে আসছিলেন। তারা নতুন একটা কর্পোরেশন টাইপের একজন ডিজিকে দিয়ে কেন্দ্র করতে চাচ্ছেন। পরে ক্যাবিনেটে বিস্তারিত আলোচনার পরে এ জিনিসটাতে দ্বিমত পোষণ করা হয়েছে। এটার জন্য আলাদা কোনো প্রতিষ্ঠান করার দরকার নেই। মন্ত্রিসভা বলছে যে, নতুন আইন করে নতুন আবার প্রতিষ্ঠান করার দরকার নেই। আপনারা নায়েম এবং এনসিটিবির যেটা আছে, এ ২টা আইন এবং কার্যক্রম সুপারভিশন করেন। কারণ একাডেমিক কাউন্সিল আইন হয়েছে ২০০৯ সালে। সেখানেও এ জাতীয় ইলিগেশন দেওয়া আছে। নতুন কোনো প্রতিষ্ঠান করার দরকার নেই, আইনও করার দরকার নেই। ওই সব আইন বা বিধি মোডিফিকেশন করে করা যায়, তাহলে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর আন্ডারে একটা উইং করে তার মাধ্যমে কাজ-কর্ম করেন। তিনি বলেন, ন্যাশনাল লেভেলে যে প্রতিষ্ঠান আছে, সেখানে একটা ইউনিট করে প্রয়োজন হলে একজন ডিরেক্টরের আন্ডারে ১০-১২ জন কর্মকর্তা নিয়ে আরেকটা উইং করে দেন। আলাদা আইন করে আরেকটা প্রতিষ্ঠান করার প্রয়োজন নেই। এই পর্যবেক্ষণ দিয়ে ফেরত (আইনের খসড়া) গেছে। এতে উনারাও (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ) রাজি হয়েছে।
ওমানের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ও ওমানের মধ্যে কূটনীতিক, অফিসিয়াল, বিশেষ বা সার্ভিস পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ওমানের সঙ্গে বাংলাদেশের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি হয়েছে। এ চুক্তির আওতায় কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কর্মীদেরও দু- দেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভিসার প্রয়োজন হবে না। ওমানের সঙ্গে একটা চুক্তি সই হয়েছে, এখন থেকে যেন ওমানে আমরা বিনা ভিসায় যেতে পারি সেজন্য এই চুক্তি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ইমার্জেন্সির কারণে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ওনারা জরুরি ভিত্তিতে একটা অ্যাপ্রুভাল নিয়ে চুক্তিটা সই করে ফেলেছিল, কিন্তু যেহেতু আন্তর্জাতিক চুক্তি ক্যাবিনেটে আসতে হয়। সেজন্য ক্যাবিনেট আজকে সেটা অনুমোদন দিয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ