Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ট্যারিফমূল্য বৃদ্ধি ও সেকেন্ডারী স্টিলকে প্রাইম কোয়ালিটি হিসেবে শুল্কায়নের প্রতিবাদে ধর্মঘটে ব্যবসায়ীরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০২২, ৩:৫৮ পিএম

ট্যারিফমূল্য বৃদ্ধি ও সেকেন্ডারীস্টিলকে প্রাইম কোয়ালিটি হিসেবে শুল্কায়নের প্রতিবাদে দোকান বন্ধ রেখে শনিবার তৃতীয় দিনের মত ধর্মঘট পালন করছে সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা। এর আগে বুধবার সকালে বংশালের নিজস্ব কার্যালয়ে বাংলাদেশ আয়রণ স্টীল ইমপোর্টাস এসোসিয়েশন এই কর্মসূচীর ঘোষণা দেয়।

সংগঠনটির সভাপতি আবুজর গিফারী জুয়েল বলেন, গত চার দশক ধরে আমরা বাংলাদেশের প্রায় চারলাখ ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পকারখানার কাঁচামাল সেকেন্ডারি কোয়ালিটি স্টিলসিট ও কয়েল আমদানি করে আসছি। আমাদের দেশে লোহার খনি বা আকরিক না থাকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সস্তায় লৌহজাত শিল্পের কাঁচামাল যোগান দেয়ার জন্য এই পন্য কাঁচামাল হিসেবে বাণিজ্যিকভাবে আমদানি করে থাকে। চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃক গত বছরের ২২ ডিসেম্বর প্রাইম সেকেন্ডারী সন্দেহে আমাদের এসোসিয়েশনভুক্ত আমদানীকারকের মাল আটক করা হয়। আটকের ফলে একজন আমদানীকারক প্রতিটনে শুল্ককরাদি ডেমারেজসহ প্রায় ৩০ হাজার টাকা অর্থ্যাৎপ্রতি ১০০ টনে ৩০ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতি ও সময় ক্ষেপনের ফলে আরও অনেক ক্ষতির সম্মুক্ষিন হয়।

এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে বিষয়টি অবহিত কওে আলোচনার জন্য সময় চেয়ে আবেদনকরলেও কোন প্রকার সাড়া পাওয়া যায়নি। সম্ভাব্য সকল প্রকার চেষ্টা করার পরও আমাদেও বিষয়েটিতে কোন সুরাহা না হওয়ায় আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হই। শুল্কায়ন জটিলতা নিরসনের জন্য উচ্চ আদালত গত ২৩ মার্চ চার সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করেন।

পরবর্তীতে গত ১৬ মে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে প্রাইম সেকেন্ডারী বির্তকে আটককৃত ও লোডিং এ থাকা কয়েক হাজারটনমাল খালাসের জন্য যোগাযোগ করলে হঠাৎ করে সেকেন্ডারী স্টিলের ট্যারিফ মূল্য দ্বিগুনের বেশি ট্যারিফ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়।

বাণিজ্যিক আমদানীকারক ও বন্ড সুবিধাভোগীদের মধ্যে শুল্ক পার্থক্য প্রতিটনে ১৪ হাজার ৫০০টাকার বেশি। আমদানী পর্যায়ে এই বিশাল শুল্ক পার্থকের ফলে উৎপাদন ব্যতিরেকে সরাসরি ফিনিশ্ড প্রোডাক্ট আমদানীকরে খোলা বাজাওে বিক্রি করছে। আবারও কাস্টমস্ ট্যারিফ বৃদ্ধি করা হলে সাধারণ ক্ষুদ্র কুটির ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও এসব শিল্পের কাঁচামাল সরবারহকারী আমদানীকারকরা দেওলিয়া হয়ে হারিয়ে যাবে।

দীর্ঘ চার দশকের পদ্বতির ওপর হঠাৎ কঠিনশর্ত জুড়ে দেয়াতে এ পেশার লাখলাখ শিল্পকারখানার ওপর বিপর্যয় নেমে আসবে। রাজস্ব সুরক্ষার নামে, কয়েকটি বন্ডসুবিধাভোগী প্রতিষ্ঠানকে হাজার হাজার কোটি টাকার ট্যাক্স সুবিধা দিতে গিয়ে প্রায় চার লক্ষ শ্রমঘন ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎশিল্প-কারখানা আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে । এর সাথে জড়িত অনেক ব্যবসায়ী চিরতের বিলীন হয়ে যাবে। যার বিরুপ প্রভাব অর্থনীতির উপর পড়বে। হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে সরকার । প্রায় ২৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান বিবেচনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানান।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সিনিয়র সহসভাপতি আমির হোসেন নুরানী, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নাসির উল্লাহ প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ