পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট রুবেন রিবলিনের ভারত সফরের বিরোধিতায় সরব হল দেশের মুসলিম ধর্মীয় সংগঠনগুলো। গত শুক্রবার যন্তর মন্তরে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সর্বভারতীয় সভাপতি ক্বারী মুহাম্মদ উসমান মনসুরপুরীর নেতৃত্বে দেশের মুসলিম ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনগুলো প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। এ সভায় উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সম্পাদক হাকিমুদ্দীন কাসেমী, জামাআতে ইসলামী হিন্দের সাধারণ সম্পাদক সেলিম ইঞ্জিনিয়ার, মুসলিম মজলিসে মুশায়ারাতের নাভেদ হামিদ, মিল্লী গেজেট পত্রিকার সম্পাদক ডঃ জাফরুল ইসলাম খান, জামে মসজিদ ইউনাইটেড ফোরামের মাওলানা তারিক বুখারী, আনহাদের শবনম হাশমী, মজলিসে উলামার যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা জালাল হায়দার নাকভী, আমরোহা মাদরাসার সদর মুদাররিস মুফতি আফফান মনসুরপুরী প্রমুখ। সভায় উপস্থিত বক্তারা ইসরাইলের প্রেসিডেন্টের ভারত সফরের তীব্র নিন্দা করেন। তারা ইসরাইলকে একটি সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র ঘোষণা করে বলেন, ভারত সরকার সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করছে। তারা প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে একটি স্মরকলিপিও প্রদান করেন।
এ সম্পর্কে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহমুদ মাদানী বলেন, শিশু হত্যাকারী যায়নবাদী ইসরাইলের সাথে ভারতের সম্পর্ক গান্ধী ও নেহরুর বিচারধারার বিরোধী। মোদী সরকার যদি তেল আবিবের সঙ্গে দিল্লীর সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা না করে তাহলে ভারতজুড়ে এর তীব্র বিরোধিতা হবে। জায়নবাদীদের সঙ্গে আর্থিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপন করলে ভারত সরকার অত্যাচারীদের সহযোগী বলে বিবেচিত হবে। কারণ, বিগত ২৫ বছর ধরে ইসরাইল বহু নিরপরাধ শিশু ও নারীকে হত্যা করেছে। ভারত সরকার যাতে বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের প্রতীকরূপে ইসরাইলকে তুলে ধরে তার দাবিও করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।