পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জঙ্গি অর্থায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকায় অবৈধ ১শ’ মানি চেঞ্জারের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে নামছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। পুলিশের এক তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জঙ্গি কাজে ব্যবহৃত অর্থ বিদেশ থেকে ডলারে দেশে আসছে। পরে মানি চেঞ্জারগুলোর মাধ্যমে এসব ডলার টাকায় রূপান্তরিত হয়ে জঙ্গি কর্মকা-ে ব্যয় হচ্ছে। এ নিয়ে পুলিশ অনুসন্ধানে নামলে বেরিয়ে আসে অবৈধ মানি চেঞ্জারগুলোর তথ্য। তারা সারা দেশে ১শ’ অবৈধ মানি চেঞ্জারের খোঁজ পায়। গত সপ্তাহে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠিও দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। এই অবৈধ কর্মকা-ের সঙ্গে প্রায় দুই ডজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত মানি চেঞ্জারেরও সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায় পুলিশ। অভিযানের পর এগুলোর লাইসেন্স বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, রাজধানীর দিলকুশা, গুলশান ও বিভিন্ন পর্যটন এলাকাগুলোতে ১শ’র বেশি প্রতিষ্ঠান মানি চেঞ্জারের ব্যবসা পরিচালনা করছে যাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন লাইসেন্স নেই। এসব প্রতিষ্ঠান হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ আনছে। অর্থ পাচারেও তারা জড়িত। এক দেশ থেকে অর্থ নিয়ে অন্য দেশে পরিশোধ করছে। কানাডা, মালয়েশিয়া যারা বাড়ি কিনছেন তারা এসব অবৈধ মানি চেঞ্জারের সহায়তায় হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করছেন।
এ বিষয়ে মানি চেঞ্জার এসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা খান বলেন, এসব অবৈধ মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে মালয়েশিয়া, কানাডার সেকেন্ড হোমের অর্থ পাচার হচ্ছে। এতদিন যেসব ব্যাংক ঋণ বিদেশে পাচার হয়েছে সেগুলোর অধিকাংশ পাচারের সঙ্গে জড়িত এসব প্রতিষ্ঠান। অবৈধ মানি চেঞ্জারগুলোর হুন্ডি কার্যক্রমের কারণে দেশে রেমিটেন্স আসা কমে গেছে। নগদ ডলারের সংকটও তৈরি হয়েছে, যার ফল ভোগ করছে লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো।
এই ব্যবসা পরিচালনা করতে লাইসেন্স নিতে হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে। বর্তমানে লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ২৩৮টি যার মধ্যে ঢাকায় ১৬৮টি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপত্র শুভঙ্কর শাহা বলেন, অবৈধ মানি চেঞ্জারগুলার বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানের পাশাপাশি বিভিন্ন পক্ষকে সতর্ক করে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হবে।
জঙ্গি অর্থায়ন প্রতিরোধে মানি চেঞ্জারগুলোকে সতর্ক করে গত বছরের সেপ্টেম্বরে একটি নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এত বলা হয়, কোন মানি চেঞ্জার সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বা নিষিদ্ধ সংস্থার সঙ্গে লেনদেন করতে পারবে না। অনুমোদিত অফিসের ঠিকানা ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবসা পরিচালনা করা যাবে না। প্রতিটি লেনদেনের তথ্য লেজারে সংরক্ষণ করতে হবে। অনলাইনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগে রিপোর্টিং করতে হবে। মহানগর এলাকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে সিসিটিভি থাকা ও ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। বৈধ মানিচেঞ্জারগুলো এসব নির্দেশনা মানছে কি না তাও অভিযানের সময় খতিয়ে দেখা হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।