পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তিন দেশের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের অভিযোগ : ভিত্তিহীন বলছে রোহিঙ্গারা
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধদের ভয়াবহ সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। মিয়ানমার সরকার দাবি করেছে, রাখাইনে তৎপর সন্ত্রাসীরা মুসলমানদের ওপর হত্যাকা- চালাচ্ছে।
জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ বিষয়ক সমন্বয়কারী দফতর এক বিবৃতিতে বলেছে, শুধুমাত্র গত ১২ ও ১৩ তারিখে সেনাবাহিনীর ব্যাপক হামলা শুরু হওয়ার পর ১৫ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে এবং তারা কোথায় আছে কেউ জানে না। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, সউদী আরব, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ থেকে আসা ‘সন্ত্রাসীরা’ রাখাইন মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালাচ্ছে। এ অভিযোগ সম্পর্কে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমান জয়নুল জানান, ‘এ অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন এবং শুধু সউদী আরব, বাংলাদেশ কিংবা মালয়েশিয়া নয়, বরং বিশ্বের কোনো দেশ থেকে এসে কেউ এখানে সন্ত্রাস চালাচ্ছে না। তিনি বলেন, মিথ্যা কথা বলে ও মিথ্যা অজুহাতে সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা মুসলমানদের হত্যা করছে, ধর্ষণ করছে, তাদের সম্পদ লুট করছে। এমনকি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দলকেও তারা সেখানে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না’।
রোহিঙ্গা মুসলমানরা মিয়ানমারের স্থানীয় বাসিন্দা এবং তারা শত শত বছর ধরে বংশ পরম্পরায় সেখানে বসবাস করে আসছে- কিন্তু তারপরও কেন মুসলমানদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চলছে ও তাদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে? এর উত্তরে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমান জয়নুল জানালেন, ‘হত্যা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ের উদ্দেশ্য হচ্ছে মুসলিম অধ্যুষিত ওই এলাকাকে মুসলিম শূন্য করা’।
এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, সন্ত্রাসীরা যে কোনো এলাকায় রাজনৈতিক বা সামাজিক অস্থিরতাকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগায়। তাই মিয়ানমারের ক্ষেত্রেও সেদেশের সরকার ও সেনাবাহিনীকে তারা অভিযুক্ত করতে পারে। কিন্তু ধারণা করা হচ্ছ, মিয়ানমার সরকার নানা কৌশলে রাখাইনের মুসলমানদের ওপর হত্যাকা-ের দায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সৃষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। মিয়ানমার সরকারের এ কূটকৌশল বা ছল-চাতুরীর উদ্দেশ্য হচ্ছে, চিহ্নিত বেশ ক’জন উগ্র বৌদ্ধকে আড়াল করা যারা মুসলমানদের ওপর গণহত্যায় প্রধান ভূমিকা রেখেছে।
কেউ কেউ বলছেন, মিয়ানমার সরকার নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করার জন্য সেদেশে মুসলিম নিধনের পাশাপাশি উগ্র বৌদ্ধদের হাতকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। এ কারণে এ উগ্র বৌদ্ধরা সরকারের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে এবং মুসলিম নিধনে সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করছে। সূত্র : পার্স টুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।